শ্রীনগর: আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে তড়িঘড়ি দুই ব্যবসায়ীর দেহ কবর দিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ৷ হান্দওয়ারা এনকাউন্টারে নিহত সেই দুই ব্যবসায়ীর দেহ কবর থেকে খুঁড়ে আনতে বাধ্য হল পুলিশ৷ দেহ দুটি আজই তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে৷ চলছে তারই প্রক্রিয়া৷
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে জঙ্গি নিধন অভিযানে দুই নাগরিকের মৃত্যু, পুলিশের উপর ফুঁসছে মৃতদের পরিবার
গত সোমবার শ্রীনগরের হান্দওয়ারার একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে এনকাউন্টার চলাকালীন গুলিতে মারা যান স্থানীয় দুই নাগরিক মহম্মদ আলতাফ ভাট এবং চিকিৎসক মুদাসির গুল৷ দু’জনেই ভুয়ো সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি ওঠে৷ নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের পর ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে৷ বাবার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়া মহম্মদ আলতাফ ভাটের ১৩ বছরের মেয়ের একটি ভিডিও বিচলিত করে দেয় নেটিজেনদের৷ তাঁরাও মেয়েটির বাবার মৃত্যুর বিচারের দাবি জানান৷ ওই ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, সে পুলিশ আঙ্কলকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন তাঁর বাবাকে মারা হল? জবাবে নির্লজ্জের মত হাসে পুলিশ৷
ভুয়ো সংঘর্ষে নিরীহ নাগরিক খুনের ঘটনার উত্তাল হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ৷ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে নিহতদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান কাশ্মীরিরা৷ চাপ বাড়তেই কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা হান্দওয়ারার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন৷ প্রশাসনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েও নিহত আলতাফের ভাই আব্দুল মাজিদ খুনীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য এলজি-কে ধন্যবাদ৷ এলজি-র কাছে একটাই আবেদন, আমার ভাইয়ের মৃতদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হোক৷ এবং যারা ভাইকে খুন করল তাদের শাস্তি দেওয়া হোক৷
আরও পড়ুন: দুই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় প্রশ্নে কাশ্মীর পুলিশ, তদন্তের নির্দেশ উপরাজ্যপালের
বলে রাখা ভালো, এনকাউন্টারের পরই ঘটনাস্থল থেকে ১০০ কিমি দূরে উত্তর কাশ্মীরের একটি জায়গায় মৃত দুই জঙ্গির সঙ্গেই কবর দেওয়া হয় আলতাফ এবং মুদাসিরের৷