মুম্বই: আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকায় মহারাষ্ট্রে প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতা মনীশ ভানুশালীকে। শুক্রবার এমনটাই করলেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ১১ কোটি বিজেপি কর্মীর মতোই তিনিও একজন বিজেপি কর্মী। গত ১৫ বছর ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরও বলেন, এনসিপি নেতা নওয়াব মালিকের জামাইও এই মাদক কাণ্ডে জড়িত ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। নিজের নিরাপত্তার জন্য দিল্লির দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান ভানুশালী। পাশাপাশি তিনি বলেন, যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নেশা থেকে মুক্ত করাই তাঁর উদ্দেশ্য।
কর্ডেলিয়া ক্রজে আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ড জড়িত থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরিয়ান খান ওই ক্রুজে ছিলেন কিনা সেই বিষয় তিনি কিছুই জানতেন না। ঘটনার তদন্ত হলে নিজের হোয়াটসঅ্য়াপ কথোপকথনও তিনি তদন্তের স্বার্থে দেখাতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খান সহ ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজত
সম্প্রতি মুম্বই থেকে গোয়াগামী কর্ডেলিয়া ক্রুজে বিপুল পরিমান মাদক সহ এনসিবির জালে ধরা পড়েন আরিয়ান খান। পরে সেই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে বিজেপির জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন এনসিপি নেতা নওয়াব মালিক। দাবি করা হয়, ওই এনসিবির অভিযানে জড়িত ছিলেন বিজেপি নেতা মনীষ ও তাঁর ব্যক্তিগত গোয়েন্দা গোসাভি। তারপর থেকেই আরিয়ান খান ইস্যুতে তরজা শুরু হয় বিজেপি-এনসিপির।
আরও পড়ুন: লখিমপুরের ঘটনার নিন্দা করার জন্যই আয়করের হানা, কেন্দ্রকে তোপ শরদের
এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মনীশ ভানুশালীর এই প্রাণনাশের অভিযোগ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। আরিয়ান খান ইস্যুতে বিজেপির দিকে রাজনৈতিক আক্রমণের তির ধেয়ে আসছে। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, সেই আক্রমণ থেকেই নজর ঘোরাতে এই প্রাণনাশের অভিযোগ তুলেছেন মনীশ।