ভোপাল: রামায়ণ, মহাভারত এবং রামচরিতমানস পড়তে হবে ইঞ্জিনিয়ারং-এর সিলেবাসে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের সরকার। যার পালটা ওই সিলেবাসে কোরান এবং বাইবেলের মতো বিষয় যুক্ত করার দাবি জানালেন ওই রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ।
কেন্দ্রের ক্ষমতা পেতেই শিক্ষা ব্যবস্থায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা করেছে বিজেপি। সংস্কৃত বা রামায়ণ-মহাভারতের মতো বিষয় সিলেবাসে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করেছে। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এবার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিলেবাসে রামায়ণ, মহাভারত এবং রামচরিতমানস যুক্ত করেছে বিজেপির সরকার। যার পালটা অন্য ধর্মগ্রন্থ সিলেবাসের অন্তর্ভুক্তির দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক।
চলতি সপ্তাহের সোমবার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিলেবাসে ধর্মগ্রন্থ যুক্ত করার কথা ঘোষণা করে মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা দফতর। ওই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, “কেউ ভগবান রামের চরিত্র এবং সমসাময়িক রচনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকলে তা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়তে পারবে।”
খুব স্বাভাবিকভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো বিষয়ের সিলেবাসে ধর্মীয় বিষয় যুক্ত করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যার ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের স্টাডি বোর্ডের শিক্ষকেরা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র অধীনে এই সিলেবাস তৈরি করেছেন। আমাদের পূর্বপুরুষদের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে চাইছি, এটা নিয়ে বিতর্কের কোনও মানে হয় না।”
মোহন যাদব এবং আরিফ মাসুদ
ধর্মনিরপেক্ষ দেশে একটি ধর্মের উপরে গুরত্ব দেওয়া অনুচিত বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ। তিনি বলেছেন, “ওরা(বিজেপি পরিচালিত সরকার) রামায়াণ এবং মহাভারতের কথা উল্লেখ করেছে শুধু। কিন্তু কোরান, বাইবেল এবং গুরু গ্রন্থ সাহিবও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিলেবাসে যুক্ত করা উচিৎ। ভারত এমন একটা দেশে যেখাএ সকল ধর্মকে একত্রিত করে। এটা একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এতে সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে এবং সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে।”