নয়াদিল্লি: নাইট ক্লাবে পার্টি করছেন রাহুল গান্ধী৷ কংগ্রেস নেতার ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে দিল্লির রাজনীতি৷ ভিডিয়োটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি৷ দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর টুইট, মুম্বই হামলার সময়েও নাইট ক্লাবে পার্টি করছিলেন রাহুল৷ আর কংগ্রেসের অন্দরে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি তখনও তিনি নাইট ক্লাবে পার্টিতে ব্যস্ত৷ অমিতের পর অনেক বিজেপি নেতাই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন৷ যদিও রাহুলের সমর্থনে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস৷ দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, বন্ধুর বিয়েতে নেপাল গিয়েছেন রাহুল গান্ধী৷ নেমতন্ন রক্ষা করা তো ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির নিদর্শন৷ তারপরই বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি তো বিনা আমন্ত্রণে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জন্মদিন পালন করতে চলে গিয়েছিলেন৷ রাহুল তো নিমন্ত্রণ পেয়ে নেপাল গিয়েছেন৷’
Rahul Gandhi was at a nightclub when Mumbai was under seize. He is at a nightclub at a time when his party is exploding. He is consistent.
Interestingly, soon after the Congress refused to outsource their presidency, hit jobs have begun on their Prime Ministerial candidate… pic.twitter.com/dW9t07YkzC
— Amit Malviya (@amitmalviya) May 3, 2022
সোমবার রাতে কাঠমান্ডু পৌঁছন রাহুল৷ বন্ধুদের সঙ্গে ম্যারিয়ট হোটেলে ওঠেন তিনি৷ সাংবাদিক বন্ধু সুমনিমা উদাসের বিয়েতে যোগ দিতে কাঠমান্ডু গিয়েছেন তিনি৷ সুমনিমা আগে সিএনএনে কাজ করতেন৷ মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ তাঁর বিয়ে৷ রিশেপশন হবে ৫ মে৷ সুমনিমার বাবা ভীম উদাস মায়ানমারে নেপালের রাষ্ট্রদূত৷ মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য তিনিই রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর৷ রাহুল ছাড়াও ভারত থেকে অনেক ভিআইপি অতিথি ওই বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে৷
তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে নীল টি-শার্ট পরা রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবে পার্টি করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সূত্রের খবর, কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি৷ ভাইরাল ভিডিয়োতে মায়াবী আলোয় মোড়া পরিবেশে রাহুলের আশেপাশে অনেক তরুণ-তরুণীকে নাচতে দেখা যাচ্ছে৷ কংগ্রেস নেতার নাইট ক্লাবে পার্টি করা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ যদিও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস জানিয়েছে, বন্ধু বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই৷ এটাই সভ্য দেশের সংস্কৃতি৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মেরে সুরজেওয়ালা বলেন, ‘কারও বিয়েতে যোগ দিতে যাওয়াটা এখনও দেশে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না৷ হয়তো আজকের পর মোদি এবং বিজেপি ঠিক করে দিতে পারে, অন্যের বিয়েতে যোগ দেওয়াটা বেআইনি৷’
আরও পড়ুন: Acharya Paramhans: তাজমহলে ঢুকতে গিয়ে ফের বাধার মুখে আচার্য পরমহংস