ওয়েব ডেস্ক : বিচারব্যবস্থায় পক্ষপাতদুষ্ট রায়ের কারণে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এমনই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে কংগ্রেস। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির তফসিলি জাতি দপ্তরের চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাল গৌতম জানিয়েছেন, যেসব বিচারপতি জাতভিত্তিক অবমাননাকর ও অসম্মানজনক রায় দিচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
সম্প্রতি এক সমাজকর্মীর জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে ওড়িশা হাইকোর্ট শর্ত দিয়ে জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তিকে তিন মাস ধরে প্রতিদিন সকাল ছ’টা থেকে ন’টা পর্যন্ত থানায় ঝাঁটা দিতে হবে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি বেআইনি খননের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। একই মামলায় আরেক অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময় নিম্ন আদালতও একই রকম নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাগুলিকে নজির হিসেবে উল্লেখ করে গৌতম সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও খবর : উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৮, আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট ধর্ষণে অভিযুক্ত এক উচ্চবর্ণের ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়ে পর্যবেক্ষণে বলেছিল, উচ্চ জাতের কেউ কখনও তফসিলি জাতি বা উপজাতি মহিলাকে ধর্ষণ করতে পারে না। যা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সালে রাজস্থানের বহুচর্চিত ভানোয়ারি দেবী গণধর্ষণ মামলাতেও একই ধরণের যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল। গৌতমের মতে, এই প্রবণতা আজও বদলায়নি।
তাঁর আরও দাবি, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অথচ ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড ট্রাইবস যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে না। গৌতম বলেন, যদি সরকার এই সংস্থাগুলিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে না চায়, তাহলে এগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, বর্তমানে তফসিলিদের বিরুদ্ধে অন্তত ছয় লক্ষ অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে, অথচ ওই কমিশন মাত্র সাড়ে সাত হাজারের কিছু বেশি অভিযোগই শুনতে পেরেছে।
দেখুন অন্য খবর: