কলকাতা: আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা। আগামী ১৫ আগস্ট (15 August) ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2023)। ১৯৪৭ সালে এই দিনেই ব্রিটিশদের দুশো বছরের পরাধীনতার অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন হয়েছিল ভারত। তাই এই মুক্তির দিন সকল ভারতীয়দের জন্য আনন্দের, গর্বের ও অহংকারের। ইতিমধ্যে ১৫ অগাস্টের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজের মহড়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এবার স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় একটি চমক রয়েছে। অগাস্ট মাসেই দিল্লিবাসী দুর্গা দর্শনের সুযোগ পাবেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির লালকেল্লার গেটে দুর্গাপ্রতিমার পটচিত্র তৈরি হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থেকে বিশিষ্ট চিত্রকর নুরুদ্দিন চিত্রকরের নেতৃত্বে দশজনের একটি দল রাতদিন ধরে কাজ করে চলেছে পটচিত্রটি তৈরি করতে। ষাট ফুট দীর্ঘ ও কুড়ি ফুট চওড়া মা দুর্গার পটচিত্র। রয়েছে গোটা দুর্গা পরিবারই। এই পটচিত্রটিতে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, মহিষাসুর সহ এক কাঠামোর সাবেকি দুর্গাপ্রতিমা চিত্রিত হচ্ছে। এই কাজ শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। কাজ শেষ করতে হবে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে।
আরও পড়ুন:শুধু ভারত নয়, বিশ্বের এই পাঁচ দেশেও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ অগাস্ট
চিত্রকর নুরুদ্দিন জানালেন, ‘এ আমাদের খুবই গর্বের কথা। বাংলার পটচিত্র স্থান পাচ্ছে লালকেল্লায়। সেই পটচিত্র দেখতে পাবেন সারা বিশ্বের মানুষ।’ নুরুদ্দিনের পাশাপাশি স্ত্রী কল্পনা চিত্রকর, মুসলেম চিত্রকর, মোমেনা চিত্রকর, চিন্টু চিত্রকর, মুক্তার চিত্রকর, বাপ্পা চিত্রকর, রোজিতা চিত্রকররা উপস্থিত রয়েছেন। তাদের এই দলে প্রায় সবাই হয় রাজ্য এবং জেলা স্তরে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। নুরুদ্দিন চিত্রকরের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের হবিচক গ্রামে। তিনি প্রায় তিরিশ বছর এই কাজে যুক্ত আছেন বলেই জানা গিয়েছে।
২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান কল্পনা চিত্রকর। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান তাঁর স্বামী নুরুদ্দিন। সে কারণেই দুর্গা পটচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিবেচিত ও মনোনীত হন এই দম্পতি। দিল্লিতে ভারতের সংষ্কৃতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের তদারকিতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নুরুদ্দিন, কল্পনারা। তাদের দাবি, ‘ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সেই লালকেল্লার শোভা বাড়াবে বাংলার পটচিত্র। দেবী দুর্গার প্রতিরূপ দেখবে গোটা বিশ্ব। এর চাইতে আর কি ভাল হতে পারে! এই কাজে শামিল হতে পারা সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার।’