ওয়েব ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের (Government Hospital) ওষুধ নিয়ে এবার বিতর্ক ছড়াল বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যে। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক সরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকজন প্রসূতিকে (Pregnant Woman) ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ অ্যানেস্থেটিক ইঞ্জেকশন (Black Listed Injection) দেওয়ার ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে অন্তত পাঁচজন প্রসূতির শরীরে ওই নিষিদ্ধ ইঞ্জেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের কারও শরীরে অসুস্থতা, তো কারও ক্ষেত্রে সাময়িক স্মৃতিভ্রংশের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
এরপরই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত। তাতে উঠে এসেছে, ওই অ্যানেস্থেটিক ইঞ্জেকশন মধ্যপ্রদেশ সরকার আগেই নিষিদ্ধ করেছিল। গুজরাতের এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এই ইঞ্জেকশন তৈরি করত এবং সেই সংস্থার ওষুধের গুণমান নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিদিশা মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথমবার এই ইঞ্জেকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর, গত বছর ডিসেম্বরে সরকার এই ইঞ্জেকশনটিকে ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ করে।
আরও পড়ুন: যাত্রী সুবিধার্থের কথা ভেবে এবার রেলের কামরায় চালু এটিএম
এখন প্রশ্ন উঠছে যে, নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও কীভাবে এই ইঞ্জেকশন হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল স্থানে ব্যবহৃত হল। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তদন্তে উঠে এসেছে, হাসপাতালের ওষুধ স্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক নিষিদ্ধ ইঞ্জেকশনগুলি আগের মজুত থেকে সরবরাহ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক রাহুল মিশ্র জানিয়েছেন, যাঁদের শরীরে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রসূতিদের উপর এই ইঞ্জেকশনের দীর্ঘমেয়াদি কোনও প্রভাব পড়বে না। যদিও মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
দেখুন আরও খবর: