কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কোমর সমান জল। কোথাও বা তার থেকেও বেশি। ঘর-বাড়ি সবই জলের তলায়। অধিকাংশ দুর্গতেরই ঠাঁই হয়েছে ত্রাণশিবিরে। জল-খাবার-ত্রাণ সবই দেওয়া হচ্ছে আকাশপথে। কোমর সমান জলে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। তা নিতে দুর্গতদের মধ্যে চলছে কাড়াকাড়িও। এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে অসমের বিভিন্ন এলাকায়।
মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকে বৃষ্টি আর হয়নি অসমে। যদিও জল নামেনি এখনও। এই বন্যার কারণে অসমের বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়। জাতীয় সড়ক এবং একাধিক জেলা বন্যার জলে ডুবে থাকার কারণে সড়কপথে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না ত্রানসামগ্রী। বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হচ্ছে আকাশপথ। কিন্তু চারিদিক জলে ডুবে রয়েছে।
অসমের পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গুয়াহাটি, শিলচর-সহ ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলাই রয়েছে জলের তলায়। কোনও কোনও এলাকায় পৌঁছচ্ছে না ত্রাণসামগ্রী। পানীয় জল, খাবার, ওষুধ না পেয়ে ক্রমশই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। একাধিক জায়গায় জলের উপর ভেসে যাচ্ছে মৃতদেহ। দুর্দিনে পরিজনের শেষকৃত্য না করতে পেরে ‘বাধ্য হয়েই’ পরিজনকে এই ভাবেই বিদায় জানাতে হচ্ছে বন্যাদুর্গতদের।
বন্যাদুর্গতদের জন্য রাজ্যজুড়ে ৮৪৫টি ত্রাণশিবির খুলেছে প্রশাসন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ শিলচর ও বরাক উপত্যকায়। এখনও পর্যন্ত ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- Corona India: অ্যাকটিভ কেস ৯০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ২০
শনিবারই বন্যা পরিস্থিতি জানতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সেনা, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।