নয়া দিল্লি: ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্তের আবেদনের শুনানি ৪২ বছর বাদে। অনুশোচনায় বিদ্ধ এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। ঘটনাটি ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসের। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ললিতপুরের বাটাওয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ঢোকে আসামিরা। দামি জিনিসপত্র লুট করে ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার আগে দুই মহিলাকে তারা ধর্ষণ করে। যাদের একজনকে খুন করা হয়, অন্যজন পরে মারা যান।
১৯৮৩ সালের ২৩ এপ্রিল ৫ আসামী ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষিত হয়। সাজার বিরুদ্ধে তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই বছরের ২ মে আদালত আসামিদের জামিন দেয়। জামিনে থাকা অবস্থায় চার জনের মৃত্যু। ফলে একমাত্র ৭৪ বছর বয়সী এক আসামির আবেদন ৪২ বছর বাদে ওঠে বিবেচনার জন্য।
আরও পড়ুন: নবজাতক পাচার হলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের রায় সুপ্রিম কোর্টের
যুক্তিসম্মত সময়ের মধ্যে সুবিচার প্রদান জরুরি। নিম্ন আদালত চার বছরের মধ্যে রায় ঘোষণা করেছিল। তারপর সেই দায়িত্ব বর্তায় হাইকোর্টের উপর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই বিচার বিলম্বিত হয়েছে। তাই সব পক্ষের কাছে, বিশেষত সমাজের কাছে আদালত দুঃখ প্রকাশ করছে। যদিও এর চেয়ে ভয়ংকর এবং নিষ্ঠুর ঘটনা হতেই পারে না। এই আসামির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। ডাকাতি এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত। ক্ষমা পাওয়ার কোন সুযোগই নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মাত্র চার বছর জেলে কাটিয়েছে। তাই তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল থাকল। অবিলম্বে ওই আসামীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা তাকে গ্রেফতার করে বাকি সাজা ভোগ করাতে হবে। অভিমত সহ নির্দেশ আদালতের।
দেখুন আরও খবর: