নয়াদিল্লি: দিল্লির যন্তর-মন্তরে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ধৃত বিজেপি নেতার দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি মিছিল থেকে মুসলিম বিরোধী স্লোগান উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভারত জড়ো আন্দোলন’ সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে ‘সাম্প্রদায়িক’ স্লোগান ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: যন্তর-মন্তরে মুসলিম বিরোধী স্লোগানের ঘটনায় গ্রেফতার অশ্বিনী উপাধ্যায়-সহ ৬ জন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় একদল ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘হিন্দুস্তান মে রেহনা হোগা, জয় শ্রী রাম কেহনা হোগা’ (ভারতে থাকতে গেলে জয় শ্রী রাম বলতে হবে)।’ কয়েক জন ব্যক্তিকে মিছিল থেকে ‘রাম রাম’ স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় শ-খানেক লোককে স্লোগান দিয়ে দেখা গেলেও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দিল্লি পুলিশ।
সাংবাদিক বরখা দত্ত টুইটারে প্রশ্ন তোলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কেন? ফুটেজে তো সবাইকে দেখা যাচ্ছে৷ পাল্টা টুইট করে ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, কারণ অমিত শাহ চান না৷ দিল্লি থেকে ত্রিপুরা- একই ফর্মুলা প্রয়োগ করছে বিজেপি। স্বরা ভাস্বরও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন ট্যুইটারে। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দাবি করেছিলেন, এই ভিডিও সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। তাঁর দাবি, হয়তো ৫-৬ জন স্লোগান দিতে থাকতে পারেন। কিন্তু তা একেবারেই উচিত হয়নি।
আরও পড়ুন: সংসদের অদূরে ‘মুসলিম বিরোধী’ স্লোগান, এফআইআর করেই দায় সারল শাহি-পুলিশ
চাপের মুখে পড়ে মঙ্গলবার এই ঘটনায় দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে অশ্বিনী উপাধ্যায় জানিয়েছেন, সেভ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি শুধু একজন অতিথি হিসাবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সকাল ১১টা নাগাদ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ১২টা’য় চলে যান।