ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামে (Pahelgam Incident) সিপিআরএফ (CRPF) জওয়ানদের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর তলানিতে ভারত-পাক সম্পর্ক (India-Pakistan Relation)। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন জওয়ান। আহত বহু। ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত সরকার। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে স্থগিত করা হয়েছে ১৯৬০ সালের ‘সিন্ধু জলচুক্তি’।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর দু’টি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ভারত। সালাল ও বাগলিহার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে শুরু হয়েছে প্রকল্পের কার্যক্রম। ইতিপূর্বে, যা পাকিস্তানের আপত্তির দরুন থমকে গিয়েছিল। কেন্দ্রের মতে, দেশের স্বার্থে ও কাশ্মীরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: জাপানকে ছাড়িয়ে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারতের: আইএমএফ
সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মিরের চেনাব নদীর উপর অবস্থিত দুই নদীর উপর বিদ্যমান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, সালাল ও বাগলিহারের জলাধারের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে,। ভারত ও পাকিস্তানে মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার লক্ষ্য, চেনার নদীর জল আরও কার্যকরভাবে পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ।
উল্লেখ্য, ভারতের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কোম্পানি এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার জলাধারগুলিতে জমা পলি অপসারণের জন্য ফ্লাশিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এই প্রক্রিয়া ১ মে শুরু হয়েছিল এবং তিনদিন ধরে চলেছিল। যদিও তা পাকিস্তানের সরবরাহ করা জলে তাৎক্ষনিক প্রভাব ফেলবে না। তবে প্রভাব ফেলবে অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে। হিমালয় অঞ্চলে এরকম ৬টি প্রকল্প রয়েছে।
এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবেই দেখছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান সরকার এ নিয়ে রাষ্ট্পুঞ্জে অভিযোগ জানিয়েছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। অপরদিকে, ভারত জানিয়েছে এই জলচুক্তি তারা বহু বছর ধরে মেনে চলছে। কিন্তু বারংবার সীমান্তে রক্ত ঝরা আর সহ্য করা যাবে না। পরিস্থিতি যাতে আরও না তে তে ওঠে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে কূটনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইরানে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চূড়ান্ত ভাবে জোরদার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্ধু জলচুক্তি ভারতের অন্যতম শক্তি হলেও একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় জলের যুদ্ধ শুরু হতে পারে। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক চাপ ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর।
দেখুন আরও খবর: