ওয়েবডেস্ক- শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি (Syama Prasad Mookerjee) ছাড়া কাশ্মীর (Kashmir) কখনই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হত না, আজ তাঁর জন্মদিনে এইভাবেই শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গুজরাটের আনন্দে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ জোর দিয়ে বলেন যে, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছিলেন তা ভোলার নয়। তিনি না থাকলে আজ কাশ্মীর কখনই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হত না।
রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ১২৫ বছর জন্মবার্ষিকীতে তাঁর দেশসেবা, দেশের প্রতি আত্মত্যাগ বিশেষ জম্মু-কাশ্মীরের তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেন। শাহ বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরকে প্রদত্ত বিশেষ মর্যাদা এবং স্বায়ত্তশাসনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সম্পূর্ণ একীকরণের পক্ষে ছিলেন। একজন সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি।
আরও পড়ুন- জন্মবার্ষিকীতে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে শিক্ষাবিদ হিসেবে শ্রদ্ধা যোগীর
অমিত শাহ বলেন, আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯০১ সালে আজকের দিনে তিনি পশ্চিমবাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ‘এক দেশ মে দো বিধান, দো প্রধান অর দো নিশান নাহি চালেঙ্গে’ স্লোগান তুলে কাশ্মীরের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গ আমাদের জাতির অংশ হওয়ার পুরো কৃতিত্ব শ্যামাপ্রসাদ এবং স্বামী প্রণবানন্দের।
অমিত শাহ গর্বিত স্বরে বলেন, বিজেপি নেতা বলেন যে মাত্র ১০ জন সদস্য নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির শুরু করা ভারতীয় জনসংঘ এখন বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। শাহ বলেন, “তিনি জওহরলাল নেহরুর তুষ্টিকরণ নীতির প্রতিবাদে মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, এরপর তিনি ভারতীয় জনসংঘ (Bharatiya Jana Sangh) গঠন করেছিলেন, যা ভারতের মাটি, সংস্কৃতি এবং স্বার্থের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একটি দল ছিল।” ১০ জন সদস্য নিয়ে তিনি যে দলটি শুরু করেছিলেন, আজ তা ১২ কোটি সদস্য নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই উপলক্ষে, আমি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মাথা নত করছি।”
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছিলেন বিজেপির আদর্শিক মূল সংগঠন ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই পশ্চিমবাংলায় জন্মগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার পর, তিনি জওহরলাল নেহেরুর অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিল্প ও সরবরাহ মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন, যেখানে তিনি চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ফ্যাক্টরি, সিন্দ্রি সার কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তানের মতো আইকনিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে ভারতের শিল্প বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেন। আদর্শগত পার্থক্যের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন, পরে তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সমর্থন করার জন্য সর্বভারতীয় ভারতীয় জন সংঘ (১৯৫১) প্রতিষ্ঠা করেন।
দেখুন আরও খবর-