ওয়েব ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) ফের পাকিস্তানকে (Pakistan) সাফ বার্তা দিলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দেন, সিন্ধু জলচুক্তি আরও কখনও কার্যকর করা হবে না। শাহ বলেন, “আন্তর্জাতিক কোনও চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করা না গেলেও, তা স্থগিত করার অধিকার ভারতের আছে। আমরা সেই অধিকারই প্রয়োগ করেছি। পাকিস্তান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাই আর এই চুক্তি চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।”
শনিবার পহেলগাম হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, “বৈসরন এলাকায় নির্মমভাবে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করা হয়েছে। কাশ্মীর যখন শান্তির পথে এগোচ্ছিল, তখন সেই অগ্রগতিকে রুখতেই এই হামলা। যুব সমাজকে বিপথে চালিত করার জন্য এটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ। কিন্তু ভারতও কড়া জবাব দিতে এক মুহূর্ত দেরি করেনি। উপত্যকার পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে, পর্যটকরা ফিরে আসছেন। এটাই ইতিবাচক দিক।”
আরও পড়ুন: নাড্ডার পর কে, এখনও বিজেপি সভাপতির নাম ঠিক করতে পারল না পদ্ম শিবির
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে নয় বছরের আলোচনার পর সিন্ধু জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদব্যবস্থার তিনটি পশ্চিম দিকের নদী—বিতস্তা (ঝিলম), চন্দ্রভাগা (চেনাব) এবং সিন্ধু-র জলপ্রবাহের ৮০ শতাংশই পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারে। এই জলে ভারতের ভাগ মাত্র ২০ শতাংশ। তবে শর্ত ছিল, ভারত এই নদীগুলোর জল ব্যবহার করলেও তা আটকাতে পারবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি চুক্তি থেকে পুরোপুরি সরে আসে বা জলপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তানের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ, দেশটির বেশিরভাগ কৃষি ও পানীয় জলের উৎস এই নদীগুলোর উপর নির্ভরশীল।
দেখুন আরও খবর: