শ্রীনগর: দীর্ঘদিন ধরে ভূস্বর্গের মাটি জঙ্গি এবং পাক সেনার হামলায় নিহত ভারতীয় সেনাদের রক্তে ভিজেছে। নিহত সেনা-নিরাপত্তা কর্মীদের স্মরণে শহিদ স্মৃতিসৌধ গড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেনাদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে সুরক্ষিত দেশের সীমান্ত। তাদের বলিদানের কথা রেখেই স্মৃতিসৌধের নাম বলিদান স্তম্ভ। শনিবার লালচকে ওই স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। বলিদান স্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন (Foundation Stone) করে শাহ বলেন, বীর সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তির জন্য নিজেদের জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের এই শ্রদ্ধার্ঘ্য।
একসময় পাকি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি ছিল লালচক। ১৯৯২ সালে মুরলী মনোহর জোশী লালচকে জাতীয় পতাকা তুললে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিদের বাধার মুখে পড়েছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩০ বছর। ২০২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে সেখানকার ক্লক টাওয়ারে (Lalchok Clock Tower) উড়েছিল জাতীয় পতাকা (National Flag)। স্বাধীনতার পরে প্রথম বার প্রজাতন্ত্র দিবসে ক্লক টাওয়ারে ওড়ে জাতীয় পতাকা।
আরও পড়ুন: Lionel Messi Birthday | মেসির জাদুতে সম্মোহিত ফুটবল ব্যক্তিত্বরাও, জন্মদিনে রইল সেরা ১১ উক্তি
জানা গিয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে অমরনাথ যাত্রাপথের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে দু-দিনের সফরে জম্মু পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বেশ কিছু জঙ্গি। নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Force) নজরে আসে। শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষে আহত হন একজন সেনা জওয়ান (Army Soldier)। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। কোনও জঙ্গহি গা ঢাকা দিয়ে আছে কি না তা জানতে এলাকায় চিরুনী তল্লাশি শুরু হয়ছে। গোটা বিষয় নিয়ে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপত্যকার সফর শেষে শনিবার দুপুরে দিল্লি ফেরার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। এরপর এদিন বিকেলে সংসদ ভবনে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।