নয়াদিল্লি: দেশে হঠাৎ করেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ তবে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা কয়েকটি মাত্র রাজ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ তাই কেন্দ্রের তরফে ওই রাজ্যগুলির কাছে পৌঁছেছে একটি নির্দেশিকা৷ করোনা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা বলা আছে ওই নির্দেশিকায়৷ কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা পেয়েছে দিল্লি, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানা৷
স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের সই করা নির্দেশিকায় মূলত তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ পর্যাপ্ত সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা করা, কোভিড বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণে গতি আনতে বলা হয়েছে দিল্লি এবং বাকি ৬ রাজ্যকে৷ এখন শ্রাবণ মাস চলছে৷ পবিত্র এই মাসে হিন্দুরা দেশের নানা প্রান্তে উৎসব পালন করছেন৷ আবার সামনেই উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যাবে৷ স্বাস্থ্য সচিব জানান, আসন্ন উৎসব উপলক্ষে মেলামেশা আরও বাড়বে৷ তখন করোনা-সহ অন্যান্য নানা ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে৷ তাই এখন থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷
দেশের মধ্যে দিল্লি, কেরল, মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি৷ স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে৷ গতকাল ৫ অগস্ট দিল্লিতে ২২০২টি নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷ একমাস আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ৮১১৷ কেরল ও মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা যথাক্রমে ২৩৪৭ এবং ২১৩৫৷ রাজেশ ভূষণ ওই সব রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো কোভিডের গাইডলাইনগুলি ঠিকমতো মেনে চলার আবেদন জানান৷ পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, রেলওয়ে স্টেশন, বাজার, বাসস্ট্যান্ডের মতো ভিড়ে ঠাসা জায়গাগুলিতে কোভিড বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না তা নিয়ে নজরদারি চালাতে বলেন৷ এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণে গতি আনার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব৷