দিসপুর: দেশের প্রথম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে মোবাইল ভ্যানের মধ্যে থ্রোম্বোলাইসিস পরিচালনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করল অসম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। শুক্রবার ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা এক রোগীকে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাজুয়াল্টি বিভাগে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বদলে মোবাইল ভ্যানেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়। চিকিৎসার পরবর্তী ধাপগুলিও মোবাইল ভ্যানেই সম্পন্ন হয়েছে।
অসম মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, অত্যাধুনিক এই মোবাইল ভ্যানটিতে সিটি স্ক্যান মেশিন, টেলিমেডিসিন ছাড়াও থ্রোম্বোলাইটিক থেরাপির যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। কোনও রোগীর স্ট্রোক হওয়ার খবর এলে মোবাইল ভ্যানটিই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাবে। এর ফলে হাসপাতালে আসার ঝামেলা থাকবে না, দ্রুত রোগীর চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে। ফলে স্ট্রোকে রোগী মৃত্যু হার কমবে।
রক্তনালীর বিপজ্জনক ক্লটগুলি দ্রবীভূত করে রক্ত প্রবাহ উন্নত করা এবং অঙ্গগুলির ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য থ্রোম্বোলাইসিস বা থ্রোম্বোলাইটিক থেরাপি ব্যবহার করা হয়। অসম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সঞ্জীব কাকাতি জানান, রোগীর অ্যাকিউট স্ট্রোকের ৩ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল ভ্যানের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর স্ট্রোক প্রোজেক্টের আওতায় এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাকিউট স্ট্রোকের ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম থ্রোম্বোলাইসিসটি করে অসম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এই প্রথম কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এই পরিষেবা দেওয়া হল। (আইসিএমআর)-এর আর্থিক সহযোগিতায় মোবাইল ভ্যানটি কেনা হয়েছে। মোবাইল স্ট্রোক ভ্যানে সিটি স্ক্যান মেশিন, টেলিমেডিসিন এবং থ্রোম্বোলাইটিক থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে।’