ওয়েব ডেস্ক: ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাম (Pahalgam) এলাকায় জঙ্গি হামলার প্রায় ১৫ দিনের মাথায় ভারতের তরফে চালানো হল এক ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান (military operation)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিদুঁর’ (Operation Sindoor) চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত। ধ্বংস করে দেওয়া হয় সংগঠনটির সদর দফতর, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতার (sabotage) পরিকল্পনা করা হত।
এই প্রত্যাঘাতের জবাবে দেশ জুড়ে বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শুরু হয়েছে। সরকারি বিমান সংস্থা Air India এবং Air India Express ঘোষণা করেছে— ৩০ জুন পর্যন্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিনামূল্যে ফ্লাইটে যাত্রা করতে পারবেন। পাশাপাশি, যারা ৩১ মে- এর মধ্যে টিকিট বুক করেছেন, তাঁদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পরিষেবা নিয়ে কোনও অসুবিধা হলে যোগাযোগের জন্য সংস্থার তরফে ফোন নম্বর ও একটি লিঙ্কও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: “দেশের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা বরদাস্ত করা হবে না,” সাফ বার্তা যোগীর
সন্ধ্যা নামতেই এই চূড়ান্ত গোপন অপারেশনে অংশ নেয় ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা। ৪টি জঙ্গিঘাঁটি ছিল সরাসরি পাকিস্তানে, আর ৫টি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে । প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় এই প্রত্যাঘাত, যা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে তোলে।
পরদিন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় এক ঐতিহাসিক প্রেস কনফারেন্স বক্তব্য রাখেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী, সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও সামরিক অভিযানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন দুই মহিলা অফিসার । তাঁরা সংযত অথচ দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন, ভারত এখন আর মেনে নেওয়ার পথে হাঁটবে না, বরং প্রত্যাঘাতই হবে নীতি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের এই জবাব দেশের প্রতিটি নাগরিকের মন জয় করেছে। আর সেনার সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানাতে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে Air India-এর এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন বলেই মন করছে দেশবাসী।
দেখুন আরও খবর: