লখনউ: গেট খুলে বাড়িতে ঢুকছিলেন। ঠিক সেই সময়েই বাইকে করে এসে গুলি ছুঁড়ল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পরলেন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি। তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে চম্পট দিল হামলাকারীরা। সিনেমার কায়দায় এই উপায়েই খুন করা হয়েছে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মেরট জেলায়। মৃত ব্যক্তির নাম হল জুবেইর আনসারি। তিনি আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমএইএম(AIMIM) দলের কাউন্সিলর এবং নেতা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাবাইনগর পুরসভার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন জুবেইর আনসারি। সেখানের নাউচান্দি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে সাদাকাত খানের সঙ্গে আব্দুলপুরে গিয়েছিলেন জুবেইর। সেখান থেকে ফিরে সাদাকাত খানের গাড়ি থেকে নেমে নিজের বাড়িতে ঢোকার সময়েই ঘটে বিপত্তি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে জুবেইর আনসারিকে। তাঁর গায়ে পাঁচটি গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় জুবেইর লুটিয়ে পড়লেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অদূরেই সন্তোষ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুলিবিদ্ধ রাজনৈতিক নেতাকে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই হত্যাকান্ড বলে দাবি করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- অপারেশন দেবী শক্তির সাহায্যে আফগানিস্তান থেকে আমরা ভাই-বোনদের ফিরিয়ে এনেছি: মোদি
এআইএমএইএম(AIMIM) কাউন্সিলর খুনের ঘটনা ঘিরে খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সমগ্র ঘটনার তদন্তের জন্য চার থানার পুলিশকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। স্থানীয় এসএসপি প্রভাকর চৌধুরী বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে মৃত ব্যক্তি প্রমোটিং ব্যবসাড় সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যার কারণে শত্রু বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”