আগরতলা: ত্রিপুরায় পুরভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এ বার খোদ পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযোগে জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। তাঁকে চ্যাংদোলা করে আগরতলার পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি।
তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের অভিযোগ, রবিবার প্রচারে বেরিয়েও বাধা পেয়েছিলেন। পুলিশে অভিযোগ জানালে বলা হয়, বেশি ভিড় করা যাবে না। ৫ জনকে নিয়ে প্রচার করা যাবে। সোমবার পুলিশের নির্দেশ মত অল্প লোক নিয়ে প্রচারে বেরোলেও বাধার মুখে পড়তে হয়। চন্দনপুর এলাকায় বিজেপির শ’খানেক লোক আমাদের নেতা কর্মীদের আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন: অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে হবে, ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা আমাদের ফেস্টুন, ব্যানার, পতাকা সবই ছিঁড়ে ফেলছে। আজ আমাদের এক কর্মীর মাথায় লাঠির আঘাতও করা হয়।’ এই ঘটনার পর পুলিশ সুপারের অফিসে হাজির হন পান্না। পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান তিনি। এর পরই তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেন পুলিশকর্মীরা। গ্রেফতারও করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।
তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব
পুলিশ সূত্রে খবর, বিনা অনুমতিতে সরকারি দফতরে প্রবেশের অভিযোগে পান্না দেবকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। টুইটে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ত্রিপুরা তৃণমূল। লেখা হয়েছে, ত্রিপুরা পুলিশ বিপ্লব দেবের দলদাসে পরিণত হয়েছে! পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী। ক্ষমতার দম্ভে উন্মত্ত বিজেপি নেতাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাব দেবে আপামর ত্রিপুরাবাসী।
ত্রিপুরা পুলিশ @BjpBiplab-এর দলদাসে পরিণত হয়েছে!
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার @AITCofficial-র মহিলা প্রার্থী।
ক্ষমতার দম্ভে উন্মত্ত @BJP4Tripura-র নেতাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাব দেবে আপামর ত্রিপুরাবাসী।#TripuraDeservesBetter pic.twitter.com/jkuCkh0Uyd
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) November 15, 2021
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দুই মহিলা সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর
দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে হবে ত্রিপুরা সরকারকে। ত্রিপুরা পুলিশকে দেখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে প্রচারে বাধা না পায়। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে ত্রিপুরা সরকার এবং ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেও ত্রিপুরায় বিরোধী দলগুলির উপর হামলা থামছে না।