ওয়েবডেস্ক- সম্প্রতি কলকাতায় (Kolkata ) ভুয়ো পুলিশ (Fake Police) কর্মী ধরা পড়ে। পুলিশের পোশাক পরেই সে ঘুরে বেড়াত। পাড়া প্রতিবেশী থেকে পরিবারের লোকেরাও জানত সুস্মিত সেন নামের ওই যুবক পুলিশে কর্মরত। নিজেকে রণজয় চট্টোপাধ্যায় নামে পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়াত। দাবি করত সে পুলিশের উচ্চ পদে কর্মরত। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ভুয়ো পুলিশকর্মী। এবার সেই কলকাতার পুনরাবৃত্তি হল রাজস্থানে। এক ভুয়ো পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হল। নাম মোনা বাগোলিয়া (Mona Bagolia) ওরফে মুলি দেবী। অভিযোগ প্রায় দুবছর ধরেদ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। এমনকী রাজস্থান পুলিশে একাধিক শীর্ষকর্তার সঙ্গে তার ছবি আছে।
২০২৩ সালে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, এতদিন পর ধরা পড়ল ওই অভিযুক্ত। জানা গেছে, ২০২১ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিল সে। পাশ করতে পারেনি। এর পরেই ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করে পুলিশ সেজে বসে সে। রাজস্থান পুলিশ অ্যাকাডেমির (Rajasthan Police Academy) পুরনো ব্যাচের একজনের পরিচয় ভাঁড়িয়ে তিনি সেখানে প্রবেশ করেন। ক্রীড়াবিদদের জন্য সংরক্ষিত আসনে রাজস্থান পুলিশ অ্যাকাডেমিতে আসে সে। সেখানে পুলিশের প্রশিক্ষণ নেয়। কিছু আলোচনাচক্রে বক্তব্যও পেশ করে। পুলিশ অ্যাকাডেমির কুচকাওয়াজেও ‘উর্দি’ পরে যোগ দেয় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- কাঠগড়ায় বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন! দায়ের সুপ্রিম মামলা
কিন্তু মোনার চালচলন ও হাবভাবে পুলিশ অ্যাকাডেমির কয়েকজন শিক্ষানবিশ সাব ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হয়। পরে মোনার চালচলনে সন্দেহ হয় পুলিশ অ্যাকাডেমির কয়েক জন শিক্ষাণবিশ সাব ইনস্পেক্টরের। তাঁরাই খবর দেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবং এর পরে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়। ওই সময় গা ঢাকা দেয় সে। দীর্ঘ তল্লাশির পর চলতি সপ্তাহে রাজস্থানের সিকার জেলা মোনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোনাকে জেরা করে একটি ভাড়া নেওয়া বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে নগদ সাত লক্ষ টাকা, পুলিশের তিনটি ‘উর্দি’ এবং রাজস্থান পুলিশ অ্যাকাডেমির কিছু পরীক্ষাপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কিছু ভুয়ো নথিপত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোনার বাড়ি রাজস্থানের নাগাউর জেলায়। বাবা পেশায় একজন ট্রাকচালক। মোবার চার বোন রয়েছে। মোনার বক্তব্য, তিনি পরিবারের মানুষের কাছে নিজের দক্ষতা দেখানোর জন্যই এই পথ নিয়েছিলেন তিনি।
দেখুন আরও খবর-