ওয়েব ডেস্ক: এবার নতুন কায়দায় ফাঁদ পাতা হয় শুরু হল প্রতারণার (Fraudcase)। প্রত্যেকের কাছেই পুরনো কয়েন রয়েছে, আর সেই কয়েনই এখন আতঙ্কের জায়গা। মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) এক বাসিন্দা কষ্টার্জিত টাকা তুলে দিয়েছিলেন প্রতারকদের হাতে। সর্বশান্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) করার নামে প্রতারণার ভুরি ভুরি অভিযোগ গোটা দেশজুড়ে। গত কয়েকমাস ধরে প্রতিটি ফোন কলে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নিয়ে সচেতনামূলক প্রচার চালিয়েছে কেন্দ্র। এ বার নতুন কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পাতা শুরু। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া শহরের বাসিন্দা সরোজ দুবে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী। সূত্রের খবর, ১ জুলাই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, ‘ইন্ডিয়ান ওল্ড কোম্পানি’ থেকে ফোন করা হয়েছে। এরপরেই জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কাছে পুরোনো আমলের কয়েন বা ভারতীয় মুদ্রা রয়েছে কিনা? কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের মুদ্রা কিনে নিচ্ছে এবং তার বদলে মোটা টাকা দেওয়া হচ্ছে। এমনই লোভ দেখানো হয় সরোজকে।
আরও পড়ুন : গাড়ি থেকে বার করে মার! হরিদ্বারে মুসলিম পরিবারকে চরম হেনস্থা
অনেকের কাছেই রয়েছে পুরোনো আমলের মুদ্রা, সরোজেরও ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, অনেক টাকা উপার্জনের কথা শুনে ভালোই লাগে তাঁর। প্রতারকরা সরোজকে তাঁর সংগৃহীত মুদ্রার একটি ছবি পাঠাতে বলে। নির্দেশমতো সেটা পাঠিয়েও দেন সরোজ। প্রতারকরা জানায়, সরোজের কাছে যে মুদ্রা সংগ্রহ রয়েছে, তার বদলে তিনি মোট ৬৫.৭৫ লক্ষ টাকা পেতে চলেছেন। প্রথমে সরোজের কাছে প্রসেসিং ফি হিসেবে ফেরতযোগ্য ৫২০ টাকা চাওয়া হয়। সেটা দিয়ে দেন সরোজ। এর পরেই ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া শুরু করে প্রতারকরা। প্রথমে তাঁকে জানানো হয়, জিএসটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে। প্রথম ধাপে ৩৭ হাজার টাকা দেন সরোজ। তাঁর আশা জিইয়ে রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু ছবি পাঠানো হয়। তাতে দেখানো হয়, বাক্সে টাকা প্যাকিং করে টাকা পাঠানো হচ্ছে, বেশ কিছু এরকম ভুয়ো ভিডিয়ো পাঠানো হয়। কয়েক দফায় মোট ৬০,০০০ টাকা দেওয়ার পরে সরোজের পরিবার তাঁকে টাকা দিতে বারণ করে দেয়।
আর এরপরই শুরু হয় আসল খেলা। টাকা না দেওয়ায় প্রতারকরা সরোজকে একের পর এক হুমকি দিতে থাকে। মানসিক চাপে পরে যান এই ব্যাক্তি। এরপর বাড়িতেই নিজের ঘরে আত্মহত্যা করেন সরোজ। তাঁর কাছে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র ছিল। সেটা ব্যবহার করেই আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর