ওয়েব ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি টানা হয়েছে আগেই। তবুও যেন থমথমে পরিস্থিতি। দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ এখনও টের পাচ্ছে বিশ্ববাসী। পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে ভারতের তিন বাহিনী (Three Forces) হাতে হাত রেখে লড়াই করেছিল। গোটা দেশ তথা বিশ্ববাসী তার সাক্ষী। এই আবহেই কেন্দ্রীয় সরকার জারি করল এক নয়া নির্দেশ। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আঁটসাঁট করতে কেন্দ্র সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।
মোদি সরকারের (Modi Government) পক্ষ থেকে তিন বাহিনীকে একত্রিত হয়ে যৌথ কমান্ডের আওতায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা একত্রিত হয়ে কাজ করবে। ‘যৌথ কমান্ডের’ মাধ্যমে পরিচালিত হবে তিন বাহিনী। এই নির্দেশ গতকাল ২৭ মে থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল আন্তঃবাহিনী সংস্থাগুলির (ইন্টার-সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনস) নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা বাড়ানো, যাতে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরও সুসংহত সহযোগিতা গড়ে তোলা যায়।’’
আরও পড়ুন: বাজপেয়ির ১৩ দিন ও মোদির ‘১৩ বছর’ গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরি নিহত হন। সেই ঘটনায় গোটা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত (India)। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে সর্বত্র। ৬ মে মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামক বিশেষ অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ৯টি স্থানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এই অভিযানে পাকিস্তান বড়সড় ধাক্কা খায়। প্রতিশোধ নিতে সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন শহরে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান, কিন্তু ভারতীয় বাহিনীর প্রস্তুতির কাছে তা ব্যর্থ হয়।
দেখুন অন্য খবর