ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ আগুনে ঝলসে মৃত্যু এক দম্পতি সহ তার তিন নাবালক সন্তানের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে (Kanpur Fire Broke)। রবিবার রাতে চামানগঞ্জের (Chamanganj) প্রেম নগর (Prem Nagar) এলাকার একটি পাঁচতলা আবাসনে আগুন লাগে। গোটা ভবনটি দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আগুনে লেলিহান শিখা সমগ্র আবাসন গ্রাস করে নেয়। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই আবাসন থেকে আগুনের ধোঁয়া ও ফুলকি বের হতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। আবাসনের একাধিক ফ্ল্যাটে মজুত গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। সেখান থেকে এই ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে থাকে দমকল। দমকল ছাড়াও আগুন নেভানোর কাজে এগিয়ে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
আরও পড়ুন: পহেলগামের ঘটনার দিনই কেন বন্ধ ছিল দোকান? NIA-র স্ক্যানারে ‘চা-বিক্রেতা’
আগুন নেভার পর দমকল কর্মীরা আবাসনে ঢুকে পাঁচ জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদের নাম মহম্মদ দানিশ (৪৫), তাঁর স্ত্রী নাজনিন সাবা (৪২)। মৃত্যু হয়েছে দম্পতির তিন মেয়ে – সারা (১৫), সিমরা (১২) এবং ইনায়ার (৭)।
জানা গেছে, প্রথমে ওই ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলে আছে একটি জুতো তৈরির কারখানা। সেখানে দাহ্য বস্তু জড়ো করে রাখা ছিল। ফলে আগুনে তীব্রতা বেড়ে যায়। চতুর্থ তলায় থাকতেন এক পরিবার।
কী ভাবে এই আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। কানপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ শর্ট সার্কিট বা বিদ্যুতের তারের সমস্যায় আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে জুতোর কারখানার জন্য আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের কারণে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: