গুয়াহাটি: তিন দলের মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে বিক্ষুব্ধ শিবসেনার বিধায়করা সময় কাটাচ্ছেন গুয়াহাটির পাঁচতারা হোটেলে৷ বিক্ষুব্ধদের বিদ্রোহে বেকায়দায় দলের সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ বাংলো ছেড়ে পৈতৃক ভিটে মাতোশ্রীতে ফিরে যেতে৷ বৃহস্পতিবার দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্রোহীদের মুম্বই ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছেন৷ কিন্তু বিক্ষুব্ধদের আপাতত ঘরে ফেরার কোনও তাড়া নেই৷ সূত্রের খবর, শিবসেনার বিধায়কদের সাতদিনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে গুয়াহাটির ওই বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে৷ তাঁদের নামে ৭০টি ঘরের বুকিং রয়েছে৷ হিসেব কষে আশেপাশের লোকজন বলছেন, সাতদিনের জন্য ৭০টি ঘরের ভাড়াই তো লেগে যাবে ৫৬ লক্ষ টাকা৷ এছাড়া রুম সার্ভিস এবং খাওয়া-দাওয়ার খরচ ধরলে তা অনায়াসে ছাপিয়ে যাবে কোটি টাকা৷
বুধবার ভোরে সুরাট থেকে চার্টার্ড বিমানে চেপে গুয়াহাটি পৌঁছন শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়করা৷ তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বিলাসবহুল ব়্যাডিশন ব্লু হোটেলে৷ বিমানবন্দরে নামার পর কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে৷ তারপর থেকে হোটেলেই সময় কাটাচ্ছেন শিবসেনার বিধায়করা৷ বাইরের কোনও লোকের হোটেলে প্রবেশের অনুমতি নেই৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নতুন কোনও বুকিংও নিচ্ছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ বন্ধ রয়েছে হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট হল৷ তবে যাঁদের আগে থেকে বুকিং ছিল কেবল তাঁরাই প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন৷
জানা গিয়েছে, গুয়াহাটির ওই হোটেলে ১৯৬টি ঘর রয়েছে৷ বিধায়কদের থাকার জন্য বুক করা হয় ৭০টি ঘর৷ সাতদিনের রুম ভাড়া ছাড়া খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য পরিষেবার জন্য বিপুল টাকা খরচ হচ্ছে৷ সূত্রের খবর, প্রতিদিন বিধায়কদের খাওয়া-দাওয়ার পিছনে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে৷ খরচের বহর এখানেই শেষ নয়৷ এর সঙ্গে জুড়বে গাড়ি ভাড়া, চার্টার্ড বিমানের ভাড়া ইত্যাদি৷ যেগুলির খরচ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি৷ প্রশ্ন উঠছে, বিধায়কদের থাকা-খাওয়া ও পরিবহনের বিপুল খরচের বোঝা বইছে কারা? শিবসেনার বিক্ষুব্ধরা নাকি বিজেপি?