দিল্লি : দেশের শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে ক্রমশ বাড়ছে সংরক্ষিত আসনে ড্রপআউটের সংখ্যা। পাঁচ বছরে দেশের সাতটি শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আন্ডারগ্রাজুয়েট ড্রপআউটের সংখ্যা প্রায় ৬৩ শতাংশ। আইআইটি-র একটি রেকর্ডের ভিত্তিতে জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনেই ড্রপআউটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দেশের সাতটি IIT –র পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানা গেছে, ড্রপআউটের মধ্যে ৪০ শতাংশই তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্র-ছাত্রী। ড্রপআউটের কারণ হিসাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ণবিদ্বেষ ও বৈষম্যমূলক আচরণকেই দায়ী করছে বিরোধীরা। কেরেলার সাংসদ ভি. সিভাদশনের ড্রপআউট সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই তাদের পছন্দের বিষয় অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনোর সুযোগ পাওয়ায় IIT থেকে ড্রপআউটের সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুল বন্ধ, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার নতুন ঠিকানা সন্দীপের ‘কালভার্ট স্কুল’
ড্রপআউট রোধে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন বা ফি হ্রাস, পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনতে জাতীয়স্তরের বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেখা গেছে ড্রপআউটের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে আইআইটি গুয়াহাটির নাম। সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড রয়েছে ওই টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে। ২৫% ড্রপআউটের ৮৮% সংরক্ষিত বিভাগ থেকে এসেছে। ২০১৯-এ দিল্লি আইআইটি থেকে ড্রপআউটের সংখ্যার সম্পূর্ণটাই ছিল সংরক্ষিত আসনের। গতবছরে প্রায় ৭৯ জন ছাত্র-ছাত্রী খরগপুর আইআইটি-র ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে এদের ৬০ শতাংশই সংরক্ষিত আসনের। উচ্চশিক্ষায় আসন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্র সংরক্ষণ তুলে দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের দাবি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়াশুনোয় সুযোগ করে দিতে বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধার পরেও কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা , ড্রপআউট নিয়ে এবার সেই সন্দেহই প্রকাশ করছে বিরোধীরা।