ওয়েব ডেস্ক: লাগাতার ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠছে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত (India-Myanmar Border)। গত ৩৬ ঘণ্টায় পরপর ছয় বার কম্পন অনুভূত হয়েছে এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে। রিখটার স্কেলে (Richter Scale) প্রতিটি কম্পনের মাত্রা ৩.৮ থেকে ৪.৫-এর মধ্যে থাকলেও, ঘন ঘন ভূকম্পনের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে মণিপুর-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে। জানা গিয়েছে, এই সীমান্তবর্তী এলাকায় শেষবার মঙ্গলবার সকাল ১১.২১-এ কম্পন অনুভূত হয়, যার কেন্দ্র ছিল মণিপুরেই।
কিন্তু কেন এই এলাকায় ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে? ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত একটি জটিল ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল। এখানে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ ঘটে মাঝেমধ্যেই। এর ফলে টেকটোনিক চাপে ভরা একটি সক্রিয় ভূমিকম্প বলয় তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্দামান-নিকোবর অঞ্চলের সক্রিয় সাবডাকশন জোন এবং মায়ানমারের ‘সাগাইং ফল্ট’-এর গতিবিধিই এই কম্পনের প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় যৌন লালসার শাস্তি! অভিযুক্তকে হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে দিলেন মহিলারা
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এই অঞ্চলে বড়সড় ভূমিকম্প হয়েছে ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। ২০২৫ সালের ২৮ মার্চ মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। এতে প্রাণ হারান অন্তত ৩,৭০০ জন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও।
এর ঠিক দু’মাস পরে, ২৮ মে গভীর রাতে ফের কম্পন অনুভূত হয় মণিপুরে। প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এরপর রাত ২টো ২৬ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় কম্পন হয়, যার তীব্রতা ছিল ২.৫। মাঝরাতে পরপর দুটি কম্পনের জেরে মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসম এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন বহু মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দেখুন আরও খবর: