ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকারের (Madhya Pradesh State Government) সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারির আভাস মিলল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এসেছে রাজ্য সরকারের কিছু নথি। যা থেকে জানা যাচ্ছে, গত ছয় মাস ধরে প্রায় ৫০,০০০ রাজ্য সরকারি কর্মীর বেতন হয়নি। মধ্যপ্রদেশের আমলা মহলে এ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ইতিহাসে এটা সবথেকে বড় দুর্নীতি কি না প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
যে নথি হাতে এসেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, ওই ৫০,০০০ সরকারি চাকুরের খাতায় কলমে অস্তিত্ব আছে, কিন্তু কোনও এক রহস্যময় কারণে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না ছ’মাস ধরে। এই কর্মীরা কি বেতনহীন ছুটিতে আছেন? নাকি তাঁদের নিলম্বিত কিরা হয়েছে? নাকি আদৌ এই কর্মীদের অস্তিত্বই নেই? তাহলে কি ভূতেদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে বেতন? যদি দুর্নীতি হয় তার পরিমাণ হবে ২৩০ কোটি টাকার।
আরও পড়ুন: দেশে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিপ্লব? মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ককে অনুমোদন
ওই সংবাদমাধ্যমকে মধ্যপ্রদেশের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের (Treasury and Accounts) কমিশনার ভাস্কর লকস্কর বলেন, “আমরা নিয়মিত ডেটা অ্যানালিসিস করি এবং তাতেই অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে বেতন জমা পড়ছে। তছরুপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তার তদন্ত চলেছে।” ট্রেজারি দফতর রাজ্য জুড়ে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জগদীশ দেওরাকে (Jagdish Devda) এ বিষয়ে অবগত করা হয়। স্পষ্টতই তিনি এই খবরে অস্বস্তিতে পড়ে যান। তিনি এ নিয়ে কিছু খোলসা না করে শুধু বলেন, এ নিয়ে যা যা হবে তা আইন মেনেই হবে। এই কথাই দ্বিতীয়বার বলেন তিনি, কিন্তু মূল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
দেখুন অন্য খবর: