ওয়েব ডেস্ক: টানা ৪৮ ঘণ্টা যানজট মধ্যপ্রদেশে। আটকে পড়ে প্রায় ৪ হাজার গাড়ি। ট্রাফিক জ্যামে আটকে মৃত্যু হল তিনজনের। মৃতদের নাম সন্দীপ প্যাটেল (৩২), কমল পাঞ্চাল (৬২) এবং বলরাম প্যাটেল (৫৫)। এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরকম পরিস্থিতি যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকেই কটাক্ষ বিরোধীদের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে শুক্রবার রাত। টানা ট্রাফিক জ্যামে আটকে । মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর-দেওয়াস জাতীয় সড়কের ছবি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশাল যানজট তৈরি হয়। ভেঙে পড়ে গোটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা। সন্দীপ প্যাটেল নামে এক ব্যক্তি প্রথমে যানজটে আটকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার কমল পাঞ্চাল এবং বলরাম প্যাটেল নামে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কমল পাঞ্চালের ছেলে বিজয় বলেন, ‘ আমরা অনেকক্ষন জ্যামে আটকে ছিলাম। তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। গাড়িতেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে দেওয়াসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন : ৯০ ডিগ্রি টার্নিং! ‘উদ্ভট’ ব্রিজ বানিয়ে সাসপেন্ড ৭ ইঞ্জিনিয়ার
কিন্তু কেন হলো এই ধরণের যানজট? স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, জাতীয় সড়কের এক জায়গায় মেরামতির কাজ চলছিল। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য বেশ কিছু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু যানবাহনকে অন্য লেনে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও জাতীয় সড়কের ওই অংশের কাছাকাছি গ্রামগুলির মধ্য দিয়ে বিকল্প রুট না থাকায় বাইপাস রোড ধরেও গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার জেরে দীর্ঘক্ষনের ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়।
স্থানীয় প্রশাসন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি, ট্রাফিক পুলিশ এবং পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীকালে এই ধরনের যানজট যাতে না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার পর থেকে কটাক্ষ শুরু করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে।’
দেখুন অন্য খবর