ওয়েব ডেস্ক : ওষুধের মধ্যে নেই ক্যালসিয়ামের অস্তিত্ব নেই। ওষুধের মধ্যে এমন উপাদান না থাকার কারণে ৩৪টি ওষুধকে (Medicines) ‘নট স্ট্যান্ডর্ড কোয়ালিটি’ (NSQ) বা নিকৃষ্ট মানের তালিকাভুক্ত করল সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (Central Drugs Standard Control Organisation)। এগুলির মধ্যে রয়েছে জীবনদায়ক বিভিন্ন ওষুধও। কলকাতা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে অস্থিসন্ধির গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।। জানা যাচ্ছে, এই ওষুধ এসেছে গুজরাট থেকে।
সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা বলেছেন, যে কোম্পানি এই নিম্নমানের ওষুধ (Medicine) তৈরি করেছে তার নাম হল গিডসা ফার্মাসিউটিক্যাল। কারখানার ঠিকানা প্লট নম্বর ৬১১, ৬১২, খারেদি দাহোড় ৩৮৯১৫১, গুজরাট। কীভাবে গুজরাট থেকে এই ওষুধ রাজ্যে প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। এদিকে মোট ৩৪ ওষুধকে নট স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি-র তালিকায় নথিভুক্ত করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।
আরও খবর : ‘জাতীয় স্বার্থে অগ্রাধিকার’, ট্রাম্পের দাবি না উড়িয়ে বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের!
যে ৩৪টি ওষুধকে ‘নট স্ট্যান্ডর্ড কোয়ালিটি’ (NSQ) বা নিকৃষ্ট মানের তালিকাভুক্ত করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড, তার মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ। রয়েছে অ্যাম্পিসিলিন প্যারাসিটামলও। এই ট্যাবলেট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে এসেছে এই ওষুধ। প্যারাসিটামলের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রয়েছে পরজীবী সংক্রমণের ট্যাবলেট অ্যালবেকাল ৪০০, পেটে সংক্রমণের মেট্রোনিডাজোল ট্যাবলেট, অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাইহাইড্রেট-এর মতো ওষুধও।
ইতিমধ্যে প্রতিটি নিম্নমানের ওষুধের ব্যাচ নম্বর প্রকাশ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক রাজ্যের পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতার কাছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবে যাতে এই ধরণের ওষুধ যেন বেচাকেনা না হয়।
দেখুন অন্য খবর :