কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি শাসিত মণিপুরে আদিবাসী পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে লাঠি, টিয়ার গ্যাস। আহত ৩০ পড়ুয়া। কয়েকজন পুলিস কর্মী-আধিকারিকও আহত হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগে। বিধানসভায় মণিপুর স্বায়ত্তশাসন বিল (পার্বত্য)-২০২১ নামক বিলটি বিধানসভায় পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে মঙ্গলবার মণিপুর জেলা (পার্বত্য) পরিষদ ষষ্ঠ এবং সপ্তম সংশোধনী বিল পেশ করা হয়। এর পরই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয় অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর। প্রসঙ্গত, ২০২১-এই মণিপুর স্বায়ত্তশাসন বিলের (পার্বত্য) খসড়া তৈরি করা হয়েছিল।
এই বিলে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন শুরুর কথা বলা হয়েছে। বিল না পেশ করায় পড়ুয়াদের আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হতে থাকে। শনিবার ছাত্র সংগঠনের তরফে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিস মিছিল আটকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলের খুব কাছে থাকা পুলিসের একটি গাড়িতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আগুন লাগিয়ে দেয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিস ৫ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে। তাদের ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময়ই লাঠিচার্জ করে পুলিস। টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করতে শুরু করেন অনেকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মণিপুর সরকার আপাতত ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার রাতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এছাড়া বিষ্ণুপুরের জেলাশাসক ২ মাসের জন্য বিষ্ণুপুর এবং চুরাচাঁদপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। ছাত্রনেতা নিংজান জাজো বলেন, আমাদের নেতাদের মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অবস্থানে অংশ নিয়েছিলাম। পুলিস বিনা প্ররোচনায় ছাত্রদের ওপর লাঠি চালিয়েছে। পুলিসের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নেতারা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।