ওয়েব ডেস্ক: বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Verma) বাসভবনে নোটের বান্ডিল উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তদন্তকারী কমিটির তিন বিচারপতি কাজে ফিরলেন ১৫ দিন পরে। ২২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Chief Justice Sanjiv Khanna) ওই কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্য পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচলপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন ছিলেন ওই কমিটিতে।
তদন্ত চলাকালীন কমিটির সদস্যরা বিচার বিভাগীয় কাজ থেকে দূরে ছিলেন। অবস্থান করছিলেন দিল্লির চাণক্যপুরীতে হরিয়ানা রাজ্য অতিথিশালায়। যেখানে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অফিসারদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২৫ মার্চ তাঁরা বিচারপতি বর্মার দিল্লির বাসভবনে যান। গ্রহণ করা হয় দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় অরোরা সহ অন্য অফিসারদের বয়ান। দিল্লি দমকলের প্রধান অতুল গর্গ ছাড়া তিন দমকল কর্মী ও বিচারপতির বাড়ির তিন নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: আইনি বিবাহই যৌন সম্পর্কের সম্মতি, আনুষ্ঠানিক বিবাহ নিষ্প্রয়োজন: হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, ১৪ মার্চ বিচারপতি বর্মার বাড়ি সংলগ্ন স্টোর রুমে আগুন লাগে। ঘটনার সময় বিচারপতি বর্মা এবং তাঁর স্ত্রী ছিলেন মধ্যপ্রদেশে। বাড়িতে ছিলেন তাঁর কন্যা ও বয়স্ক মা। এদিকে ওই স্টোররুম থেকে অর্ধদগ্ধ নগদ অর্থ পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। চক্রান্ত করে তাঁকে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিচারপতি বর্মা। এই প্রেক্ষাপটে গঠিত হয় ওই তিন সদস্যের কমিটি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) ট্রান্সফার করেন। তা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ করে এলাহাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতি খান্না বিক্ষোভ শান্ত করেন এবং জানিয়ে দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টে নিযুক্ত হলেও তিন সদস্যের কমিটির সিদ্ধান্তের আগে কোনও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বিচারপতি বর্মা। গত সপ্তাহের শেষে অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেন বিচারপতি বর্মা।
দেখুন অন্য খবর: