ওয়েবডেস্ক: ‘এক্সকিউজ মি’। আমাকে ক্ষমা করবেন। যাই ঘটুক এই একটা কথাতে সব সমস্যা নিমেষে উধাও। ভয়ঙ্কর অবস্থাতেও এক্সকিউজ মি বললেই কেল্লাফতে। ক্ষমা সুন্দর। কিন্তু অনেকে অহংকার বজায় রাখতে নিজেকে নত করে এই আপ্তবাক্যটাই বলতে চান না। কিন্তু এবার ঘটল অবাক করা ঘটনা। এক্সকিউজ মি বলার জন্য দুই মহিলাকে মারধর করা হল। কেন তাঁরা মারাঠিতে কথা না বলে ইংরেজি এক্সকিউজ মি বলেছেন? চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের দম্বিভালিতে। মারাঠি ও যাঁরা মারাঠি নন তাঁদের মধ্যে গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কী ঘটেছিল? দুই মহিলা বাইকে ছিলেন। একটি হাউসিং সোসাইটিতে প্রবেশ করার সময় দেখেন একজন রাস্তা আটকে রয়েছেন। এক্সকিউজ মি বলে তাঁকে রাস্তা থেকে সরতে বলেন। মারাঠি ভাষায় কথা না বলায় সেই ব্যক্তি ওই দুই মহিলাকে মারধর করেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকেরাও চলে আসেন। এক মহিলার সঙ্গে নয় মাসের শিশুও ছিল। কিন্তু এর জন্য ওই ব্যক্তি কোনও উদ্বেগ দেখাননি। একজন মহিলার স্বামী তাঁদের মারঝরা খাওয়া রক্ষা করতে আসেন। তখন তাঁর উপর চড়াও হন ওই বক্তি। মাথায় রড দিয়ে মারা হয়। বিষ্ণুনগর থানা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: নাগরিক সুরক্ষায় নয়া আধার অ্যাপ, মুখের আইডি স্ক্যান করালেই আপডেট
রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা মারাঠি ভাষার ধুয়ো তুলে বিক্ষোভে নেমেছেন। সম্প্রতি এমএনএস একটি প্রচার শুরু করেছে, যাতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীরা মারাঠি ভাষায় কথা বলবেন। ঘটনায় ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে চিঠি লিখেছেন। উল্লেখ্য, একসময় মারাঠা অস্মিতাকে জিগির করতেন রাজনীতিকরা। বাইরের রাজ্য থেকে আসা অনেককে গণ্ডগোলের মধ্যে পড়তে হত। বালা সাহেব ঠাকরের আমল থেকে এই দৃশ্য দেখা যেত মহারাষ্ট্রে। তবে কি আবার সেই ধরনের ঘটনা নমহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে?
দেখুন অন্য খবর: