নয়াদিল্লি: দিল্লি দাঙ্গার (2020 Delhi Riots) ঘটনায় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের (BJP leader Kapil Mishra) বিরুদ্ধে ফের তদন্তের নির্দেশ। আপাতদৃষ্টিতে অভিযোগে গ্রহণযোগ্যতার ইঙ্গিত রয়েছে, মন্তব্য আদালতের (Court)।
২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হওয়া দাঙ্গার ঘটনায় নির্দেশ রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের (Rouse Avenue Court house) অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব চৌরশিয়ার (Chief Judicial Magistrate Vaibhav Chaurasia) । একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য অপরাধের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মন্তব্য বিচারকের।
প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সময় মিশ্র ওই এলাকায় ছিলেন, মন্তব্য আদালতের।
মুহাম্মদ ইলিয়াস নামে অভিযোগকারীর মামলায় পুলিশের বক্তব্য ছিল, মিশ্রকে ওই দাঙ্গায় ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনামাফিক চক্রান্ত করা হয়েছে। এই বক্তব্যের সমর্থনে হ্যাশট্যাগ অ্যারেস্ট কপিল মিশ্র নামে সমাজমাধ্যমে চলা প্রচারের তথ্য পেশ।
আরও পড়ুন: বিমসটেক বৈঠকে যোগ দিতে এবার ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, বৃহস্পতিবার রওনা
দিল্লি protest support group নাম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই প্রসঙ্গে পেশ হওয়া তথ্য পেশ পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে, ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ৫৩ জন নিহত, ৫০০ জনেরও বেশি আহত এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়। দাঙ্গার পাঁচ বছর পর, জেলা পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ এবং বেআইনি সমাবেশের ৬৯৫টি মামলার মধ্যে ১০৯টিতে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১০৯ টি রায়ের বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। ৯০টিতে খালাস, ১৯টিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। রেকর্ড অনুসারে, এই খালাস দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিভক্ত।
৪৪ বছর বয়সী কপিল মিশ্র একজ প্রাক্তন আপ বিধায়ক। মিশ্র তার পুরনো নির্বাচনী এলাকা কারওয়াল নগর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বারের মতো বিধায়ক হন। তিনি দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় একজন জলসম্পদ হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে, ২০১৭ সালে, কেজরিওয়াল এবং তৎকালীন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং পিডব্লিউডি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন, তখন তাকে আপ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৯ সালে কপিল মিশ্র বিজেপিতে যোগ দেন, আপেরন বিরুদ্ধে প্রচার চালান।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ করা টুইট, মন্তব্য এবং দাঙ্গার ঘটনায় দিল্লি পুলিশ মিশ্রের বিরুদ্ধে কখনও কোনও ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করেনি, তবে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারণা চালানোর সময় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি যে টুইটগুলি পোস্ট করেছিলেন তার জন্য একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মিশ্র সিএএ বিরোধী বিক্ষোভস্থল শাহীনবাগকে “ক্ষুদ্র পাকিস্তান” বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, যে দিল্লির নির্বাচন “ভারত ও পাকিস্তানের” মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে।
দেখুন অন্য খবর: