ওয়েব ডেস্ক: পেহেলগামে (Pahalgam) জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জন ভারতীয়। আর তারপর থেকেই প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছিল গোটা ভারতবাসী। আর পেহেলগাম হামলার ১৫ দিনের মাথায় ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের(POK) ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দেয় ভারতীয় সেনা। একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেই সেনা ঘাঁটিগুলি। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে দেন, ভারতের হামলায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি গুলিতে হামলা করে নিহত করা হয় ১০০ জন জঙ্গিকে।
আর তারপরেই প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছিল পাকিস্তান। গতকাল, পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি, যেমন জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, জায়সারমিল, লুধিয়ানায় হামলা চালায়। আর তারই প্রত্যাঘাতে ভারত পাল্টা শুরু করে মিসাইল হামলা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৫০টিরও বেশি মিসাইল।
আরও পড়ুন: টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ব্যবহারে সেনা প্রধানকে বিশেষ ক্ষমতা
গতকাল থেকেই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয় জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে পাঞ্জাব -সহ বিভিন্ন রাজ্যে।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একাধিক বৈঠক চলছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় সেনা, বায়ু সেনা, এবং নৌ সেনা, তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং।
তারপরেই বিকেল বেলায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সঙ্গে ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, এবং ভামিকা সিং। সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁরা জানিয়ে দেন, পাকিস্তান বারংবার ভারতের জনবসতী জায়গায় হামলার চেষ্টা করেছে। আর তাদের এই হামলায় নিহত হয়েছে ২জন ভারতীয় ছাত্র।
পাশাপাশি, বিদেশসচিব আরও জানান, তুর্কি পাকিস্তানকে ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছে।
শুধুতাই নয়, পাকিস্তান আকাশ সীমান্তরেখা বরাবর যাত্রীবাহি বিমান অবস্থান করে রেখেছিল যাতে কোনভাবে ভারতের হামলা যদি সেই যাত্রীবাহী বিমানে করা হয়, তাহলে পাকিস্তান সরাসরি দাবি করবে ভারত পাক সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
এমনকি পাকিস্তান গতকাল ভারতের ধর্মীয়স্থান লক্ষ করে হামলা চালায়। আর যা থেকে একপ্রকার স্পষ্ট, পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য ভারতের জনবসতী জায়গার উপর হামলা চালানো। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের শেষ করে দেওয়া মূল লক্ষ্য।
আর আজ বিদেশ সচিব স্পষ্টত জানিয়ে দিল, গতকাল পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় নিহত হয় ২জন ছাত্র।
দেখুন অন্য খবর