গুয়াহাটি: অরুণাচল প্রদেশের ইন্দো-চীন সীমান্তের কুরুঙ্গ কুমে জেলা থেকে গত ২০ দিন ধরে নিখোঁজ বহু শ্রমিক৷ সোমবার তাঁদের দু’জনের খোঁজ পেল রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ জেলার ডেপুটি কমিশনার বেনজিয়া নিঘে জানান, উদ্ধার হওয়া দুই শ্রমিক খোলেবুদ্দিন শেখ (২৭) এবং শামিদুল শেখকে (১৯) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে ইটানগরের কাছে একটি সরকারি হাসপাতালে৷ এদিকে নিখোঁজ আরও ৯ জন শ্রমিকের সন্ধানে সোমবার থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান৷
চীন সীমান্তের কাছে অরুণাচলের একদম প্রান্তিক জায়গায় রাস্তা নির্মাণের কাজ করছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)৷ ডেপুটি কমিশনার বেনজিয়া নিঘে জানিয়েছেন, গত ৫ জুলাই রাতে হুরি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান শ্রমিকরা৷ তাঁরা যথাক্রমে ৮ জন এবং ১১ জনের দলে ভাগ হয়ে গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যান৷ ওই জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ এবং বন্যপ্রাণী রয়েছে৷ পরে তাঁদের খোঁজে ২৫ জনের একটি উদ্ধারকারী টিম তৈরি করা হয়৷ পুলিস ও স্থানীয়দের সাহায্যে ওই টিম জঙ্গলের ভিতর উদ্ধার অভিযান শুরু করে৷
গত কয়েকদিন ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সন্ধান পায় উদ্ধারকারী দল৷ দু’দিন আগে বায়ুসেনার বিমানে সাতজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়৷ রবিবার খোঁজ মেলে আরও দু’জনের৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এবড়ো-খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তা এবং ঘন জঙ্গলের ভিতর আর হাঁটতে না পেরে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ উদ্ধারের পর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ এদিকে এখনও নিখোঁজ ১০ জন শ্রমিক৷ ঘন জঙ্গলের বিষাক্ত সাপেদের কারণে তাঁদের সন্ধানে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে৷ বিষাক্ত সাপ ও বণ্যপ্রাণীদের জন্য সন্ধের পর অভিযান বন্ধ রাখতে হচ্ছে৷ আবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার বায়ুসেনার বিমানও নামানো যায়নি৷ নিখোঁজ শ্রমিকদের অধিকাংশই মুসলিম এবং অসমের বাসিন্দা৷ ইদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু ঠিকাদার ছুটি দিতে না চাওয়ায় তাঁরা প্রকল্প এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ পুলিস অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কয়েছে৷
