মাওবাদী দমনে ফের সাফল্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই মাওবাদীকে খতম করল ছত্তিশগড় পুলিশ। রবিবার ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে জানানো হয়, শনিবার নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলি লড়াইয়ে দু’জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। বস্তার বিভাগের নারায়ণপুর জেলায় দুটি পৃথক এনকাউন্টার হয়েছে। সংঘর্ষস্থল থেকে দুটি বন্দুক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়, আদালতে জানালো কেন্দ্র
বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দেরাজ পি বলেন, গোপন সূত্রে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড নারায়ণপুরের জঙ্গলে অভিযান চালায়। ওই সময় জঙ্গলে সিপিআই (মাওবাদী)-এর মাড ডিভিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওরছা পুলিশ স্টেশনের ইটুল জঙ্গলে প্রথম এনকাউন্টারটি হয়। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন একজন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়।
সংঘর্ষস্থল থেকে একটি রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপারেশন চালায় পুলিশ। এরপর কোরাওয়া জঙ্গলে দ্বিতীয় এনকাউন্টারটি হয়। সংঘর্ষস্থল থেকে একজন মাওবাদীর দেহ ও অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বাকি মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে পরিবর্তন আনছে রেল
করোনা পরিস্থিতিতেও দেশজুড়ে মাওবাদী দমনে লাগাতার পুলিশি অভিযান চলছে। বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী গ্রেহাউন্ড ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ৬ মাওবাদীর। মাওবাদীদের আত্মগোপনের খবর পেয়ে ওইদিন আচমকা অভিযান চালায় ওড়িশা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীও পালটা জবাব দেয়।
করোনা পরিস্থিতিতে সমতলে যেমন মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছি, তেমনই পাহাড়ে আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে জঙ্গিদের। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। জম্মু-কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গির নাম উজায়ের আশরাফ দার। সে সোপিয়ানের বাসিন্দা ছিল। তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।