লখনউ: নয়া উপায়ে ধর্মান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস(RSS)। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পরে মৃতদেহ সৎকারের জন্য জায়গা দিয়ে ধর্ম বদল করানো হল ১৮টি মুসলিম পরিবারকে। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা সকলেই মুসলিম বানজারা সম্প্রদায়ের মানুষ। আরও ২০০ জনকে এই উপায়ে হিন্দুত্বে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সংঘ।
আরও পড়ুন- কৃষিকাজে গরুকে অন্যত্র নিয়ে যেতে লাগবে প্রশাসনের অনুমতি, নয়া আইনে বিজেপির
উত্তরপ্রদেশের শামলি এলাকায় কবরের জায়গা না থাকার কারণে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে ১৮টি পরিবার। উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হওয়ার কারণে তাঁদের মৃতদেহ সৎকার নিয়ে সমস্যা ছিল। সেই জটিলতা কাটাতেই ধর্ম বদল করেছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। হিন্দু ধর্ম মতে মৃতদেহ দাহ করা হয়। তবে ধর্মের বদল ঘটলেও অনেকের শবদেহ দাহ-তে আপত্তি রয়েছে। তাঁদের জন্য জমির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপি’র মিছিলে থিকথিকে ভিড়, অতিমারি আইন নিয়ে অমিত শাহ্কে তোপ তৃণমূলের
চলতি মাসের চার তারিখে স্থানীয় মন্দিরে গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে শুদ্ধিকরণ হয়েছে ওই সকল মুসলিম ব্যক্তিদের। ছোট থেকে বড় নানা বয়সের মানুষ ছিলেন সেখানে। পুরোহিত যশবীর মহারাজ ওই মহৎ কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর কথায়, “ওই বানজারা পরিবারের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। তাঁদের হিন্দুত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক বুঝিয়েছি।” ধর্মান্তরের পরে রশিদ খানের নাম হয়েছে বিকাশ কুমার। মঞ্জু বানো হয়ে গিয়েছেন মঞ্জু দেবী।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে গোহত্যা নিষিদ্ধ অসমে
এই ধর্মান্তরিত পরিবারের অনেকেই আগে হিন্দু ছিলেন। দেড় দশক আগে গুরুজনেরা ইসলাম গ্রহণ করায় মুসলিম হয়েছিলেন। ছোটবেলার হিন্দু ধর্মীয় রীতি এখনও স্মৃতিতে স্পষ্ট রয়েছে। বছর খানেক ধরে কবরের জমি নিয়ে প্রতিকূলতার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন শ্মশানে দাহ করার ব্যবস্থা হওয়ায় সবাই খুশি। সেই সঙ্গে মৃতদেহ দাহ করতে অনিচ্ছুকদের জন্য মন্দিরের পাসেই এক টুকরো জমি কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই ধর্মান্তরের বিষয়ে স্থানীয় জেলাশাসক যশজীত কৌর বলেছেন, “এটা ঠিক ধর্মান্তর নয়। যেটা হয়েছে সেটা কেবল নামের বদল।” যদিও সংঘ এবং বিজেপি নেতারা বিষয়টিকে ধর্মান্তর বলেই প্রচার করছেন। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় বানজারা সম্প্রদায়ের বাকি ২০০ মুসলিম ব্যক্তিকেও অদূর ভবিষ্যতে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছেন।