নয়াদিল্লি: জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার থেকে বাংলা ভাষাতেও পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং। যাবতীয় পঠনপাঠন ব্যবস্থা অনুবাদ করার জন্যেও করা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- শনিবার থেকেই ফুলবাগান-শিয়ালদহ মেট্রোর ট্রায়াল
বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলতেও দেখা গিয়েছিল। বিরোধীদের কটাক্ষ ছিল- বাংলা দখলের জন্য বাঙালি হওয়ার চেষ্টা করছেন গুজরাতি মোদি। রবি ঠাকুরের কায়দায় দাড়ি রাখা নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
সেই ভোটের ফল ঘোষণার দুই মাসের মাথায় বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার থেকে বাংলা ভাষাতেও পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং। সেই সঙ্গে আরও চারটি ভাষা যুক্ত হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পাঠক্রমে। সেগুলি হল- হিন্দি, তামিল, তেলেগু এবং মারাঠী। সেই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠক্রম আরও ১১টি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- অতিমারির মাঝেও নয়া সংসদ ভবন নির্মাণে ৩০০কোটি খরচ কেন্দ্রের
গত বছর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতির ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম বর্ষপূর্তি ছিল। সেই উপলক্ষ্যে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই এই বড় ঘোষণা করেছেন তিনি। নীতি নির্ধারণের জন্য যে সকল শিক্ষক, অধ্যাপক এবং অন্যান্য শিক্ষাবিদেরা কাজ করছেন তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন মোদি।
এদিনের অনুষ্ঠানে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে মোদি বলেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে দেশের আট রাজ্যে ১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং চালু হতে চলেছে। যেখানে পাঁচটি ভারতীয় ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং পঠনপাঠন হবে। সেই পাঁচ ভাষা হল- হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মারাঠী এবং বাংলা।” সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে যার সাহায্যে ইঞ্জিয়ারিং-এর পাঠক্রম ১১টি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন- বিজেপি সাংসদকে ‘বিহারি গুন্ডা’ বলায় অভিযুক্ত মহুয়া, দুঃখিত তেজস্বী
নয়া শিক্ষানীতি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল বদল ঘটবে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের যুব সমাজ এই নীতির সঙ্গে সহজেই একাত্ম হয়ে যাবে বলে মনে করছেন মোদি। তিনি বলেছেন, “দীর্ঘদিনের একটা ধারণা ছিল যে ভালো শিক্ষা বিদেশেি পাওয়া যায়, তাই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে হবে। কিন্তু এখন ভালো শিক্ষার জন্য বিদেশ থেকে পড়ুয়ারা ভারতে আসবে। সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন এই দেশেই তৈরি হবে।”