মুম্বই: আজ সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে দু’দিনের বাদল অধিবেশন৷ আর প্রথম দিনই বিজেপি বিধায়কদের চিৎকার চেঁচামেচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা৷ অভিযোগ, স্পিকারের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন বিজেপির ডজনখানেক বিধায়ক৷ বিজেপি বিধায়কদের আচরণে ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হন স্পিকারের দায়িত্ব সামলানো ভাস্কর যাদব৷ তাই আগামী এক বছরের জন্য ১২ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন তিনি৷
যদিও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ৷ গল্প তৈরি করা হচ্ছে৷ বিজেপির কোনও বিধায়ক উনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি৷’
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় বন্দুকবাজের কবলে ১৪০ স্কুল পড়ুয়া
অধিবেশন শুরু হতেই এদিন নানা ইস্যুতে বিজেপি বিধায়করা তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন ৷ বিজেপির অভিযোগ, স্পিকার তাঁদের কথা বলার সময় দেননি৷ তার পরই সভা মুলতবি করে দেন৷ তবে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ অসত্য৷ উল্টে, স্পিকারই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া নেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন৷ অপরদিকে স্পিকারের অভিযোগ, ‘বিরোধী নেতারা ঘরে এসে আমায় হেনস্থা করেন৷ অসংসদীয় কথাবার্তা বলেন৷ সেই সময় ঘরেই ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং চন্দ্রকান্ত পাতিল৷ কেউ কেউ আমার গায়েও হাত দেন৷’
এর পরই বিজেপির ১২ জন বিধায়ককে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করেন ভাস্কর যাদব৷ সাসপেন্ডেড বিধায়করা হলেন, সঞ্জয় কুতে, আশীষ শেলার, অভিমন্যু পাওয়ার, গিরিশ মহাজন, অতুল ভাটকলকর, পরঙ্গ আলাভনি, হরিশ পিম্পালে, রাম সতপুতে, বিজয় কুমার রাওয়াল, যোগেশ সাগর, নারায়ন কুচে, কীর্তিকুমার ভাংডিয়া৷ স্পিকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান সাসপেন্ডেড বিজেপি বিধায়ক আশীষ শেলার৷ তিনি বলেন, ‘ঠাকরে সরকার তালিবানদের মতো আচরণ করছে৷ এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি৷ একজনও বিজেপি বিধায়ক কেবিনে গিয়ে স্পিকারকে হেনস্থা করেননি৷