ওয়েবডেস্ক: খারাপ কিছু ঘটলে বলা হয় পাকেচক্রে। আমাদের দেশের মাটি, জল, হাওয়ায় পুষ্ট হয়েছে ওরা। সেরকমই ১১ জনকে পাকিস্তানের (Pakistan) চরবৃত্তির (Spies) অভিযোগ গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জনপ্রিয় ইউটিউবার (Yutuber) থেকে কলেজ ছাত্র, নিরাপত্তারক্ষী, অ্যাপ ডেভলপারও রয়েছে সেই তালিকায়। তার মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানের হানিট্র্যাপ ও টাকার ফাঁদে পড়ে চরবৃত্তি করেছে বলে তদন্তে উঠে আসছে। পাকিস্তানকে জাতীয় সুরক্ষা, সামরিক ঘাঁটির মতো স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়া, পাকিস্তানে সরাসরি নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর তথ্য হাতানো হয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যাদের গ্রেফতার হয়েছে তারা পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিস গ্রেফতার করেছে ৩২ বছর বয়সী গাজালা, পঞ্জাবের মালেরকোটলার বাসিন্দা ইয়ামিন মহম্মদকে। পাকিস্তানের হাইকমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে এদের যোগ ছিল।দানিশের সঙ্গে তাদের নিয়মিত দেখা হত। দানিশের মোবাইল থেকে সরাসরি তাদের মোবাইলে টাকা ঢুকেছে। জানা যাচ্ছে জ্যোতি মলহোত্রা তিনবার পাকিস্তানে গিয়েছিল। পহেলগাম জঙ্গি হামলার আগেও পাকিস্তানে গিয়েছিল। জ্যোতি মলহোত্রা দেশের বিভিন্ন জায়গার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করত। সে কলকাতাও ঘুরে গিয়েছিল। ফলে সেই সব ভিডিও দেখে জায়গা চিহ্নিত করতে পারত পাকিস্তান। কলেজ ছাত্র দেবেন্দ্র সিং গত নভেম্বরে পাকিস্তানে গিয়েছিল। আর্মান নামে এক যুবকের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের মোবাইল নম্বরে এখানকার ভিডিও, ছবি পাঠানো হয়েছে। পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে করণবীর সিং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইএসআইয়ের কাছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর তথ্য পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।