পাটনা: ফের বিষমদ কাণ্ড৷ আবারও বিহার৷ এবার বিষমদ খেয়ে বিহারে মৃত্যু হল ১১ জনের৷ গুরুতর অসুস্থ ১২ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে৷ তাঁদের অনেকের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷ বিহারের সরন জেলায় বিষমদ কাণ্ডে এত মানুষের মৃত্যুতে সাসপেন্ড করা হয়েছে মাকের থানার এক পুলিস অফিসারকে৷
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিস সুপার সন্তোষ কুমার৷ অভিযোগ, বিষমদ তৈরি করে তারাই ফুলওয়াড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্রি করেছিল৷ সেই মদ খেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন দু’জন৷ পরে তাদের মৃত্যু হয়৷ এরপর আরও অনেকের অসুস্থতার খবর সামনে আসতে থাকে৷ তাঁদের প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অসুস্থদের পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হ.৷ জেলাশাসক রাজেশ মীনা বলেন, হাসপাতালেই নয় জন মারা যান৷ একজনের মৃত্যু হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ অন্য একজনের মৃতদেহ আগেই সৎকার করে দেওয়া হয়েছিল৷
ঘটনার পরই গ্রামে যায় পুলিস ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা৷ তাঁরা জানতে পারেন, শ্রাবণ মাসে এই গ্রামে মদ্যপান করার প্রাচীন প্রথা আছে৷ শ্রাবণ মাস উপলক্ষে গত ৩ অগাস্ট গ্রামে উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ তখনই গ্রামবাসীরা মদ খায়৷ তারপরই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ অসুস্থ ১২ জনের এখনও চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে৷ জানা গিয়েছে, বিষমদ খেয়ে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে৷ এদিকে বিষমদ কাণ্ডে থানার এক পুলিস আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ যদিও বিরোধীদের দাবি, ‘ড্রাই’ রাজ্য বিহারে অবৈধ মদের কারবার বাড়ছে৷ পুলিস ও প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না৷ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নীতীশ কুমার রাজ্যে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন৷ কিন্তু গত কয়েকবছরে বিহারে বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারান অনেকে৷ একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর নভেম্বর থেকে বিষমদ কাণ্ডে ৫০ জনের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন৷