আলিগড়: হাতে তৈরি তালা অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য উপহার দিতে চলেছেন আলিগড়ের এক বয়স্ক কারিগর। সেই তালাপ ওজন ৪০০ কেজি অর্থাৎ চার কুইন্টাল, যা তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। একদমই ঠিক শুনছেন। আগামী বছরের শুরুতেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির। তার আগেই সত্য প্রকাশ শর্মার তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তালা তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। এই তালা তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে।
এই বছরের শেষের দিকে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে ৪০০ কেজি ওজনের ওই তালা হস্তান্তর করতে চলেছেন সত্যপ্রকাশ। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক ভক্ত একাধিক উপহার দিচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলেন, এই তালাটি কোথায় ব্যবহার করা হবে তা পর্যালোচনা করে দেখে জানানো হবে। এ বিষয়ে সত্য প্রকাশ বলেন, ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আলিগড়ে তিনি তালা তৈরি করছেন। তাঁর এই তালা তৈরিতে আলিগড় তালা নগরী বা তালার দেশ নামেও পরিচিত। আর এই বিশালাকার তালা তৈরি করতে তাঁর পরিবার এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: মথুরাপুরে বিরোধী সদস্যদের অপহরণ মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদন
জানা গিয়েছে, ওই তালাটি উচ্চতায় ১০ ফুট, চওড়া সাড়ে ৪ ফুট এবং ৯.৫ ইঞ্চি পুরু। তিনি জানান, রাম মন্দিরের কথা মাথায় রেখেই তিনি ৪ ফুটের চাবি দিয়ে একটি বিশাল তালা তৈরি করেছেন। এ বছরের শুরুতে প্রতি বছর আলিগড় প্রদর্শনীতে এই তালা রাখা হবে। সত্যপ্রকাশ আরও বলেন, আমার স্ত্রী রুকমণিও এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।
তাঁর স্ত্রী রুকমণি বলেন, আমরা ৬ ফুট লম্বা এবং ৩ ফুট চওড়া একটি তালা আগে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বেশ কয়েকজন তা দেখে একটি বড় তালা তৈরি করার পরামর্শ দেন। তাই আমরা এটা পরিবর্তন করে নতুন করে কাজ করে এই বিশালাকার তালা তৈরি করি। এই তালাটি তৈরি করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সত্যপ্রকাশ বলেন, কয়েক দশক ধরে আমি তালা তৈরির ব্যবসা করছি। তাই আমি রাম মন্দিরের জন্য এই বিশালাকার তালা তারি করার পরিকল্পনা করেছিলাম।