ওয়েব ডেস্ক: সীমান্ত পরিস্থিতি যেন ধীরে ধীরে ভয়াল রূপ নিচ্ছে। শহরের জীবনে স্কুল, কলেজ কিংবা অফিসের রুটিন স্বাভাবিক থাকলেও, আকাশে যুদ্ধবিমানের গর্জন আর টিভি স্ক্রলে হামলার খবর যেন অদৃশ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের মনে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করা সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিশেহারা। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশনে ভুয়ো খবরের ছড়াছড়িও বেড়েছে— কেউ বলছেন যুদ্ধ শুরু, কেউ বলছেন পারমাণবিক হামলার হুমকি (Nuclear attack threat)।
এই আবহে বুধবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তাঁরা জানান, বুধবার রাতে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি সীমান্তবর্তী শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায়। আঘাত হানে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভাতিণ্ডা, নাল, ফালোড়ি, উত্তারলাই ও ভূজে। পাশাপাশি কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ ও রাজৌরি এলাকাতেও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা।
আরও পড়ুন : স্বভাব বদলায় না! ভারতে ফের সাত জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা পাকিস্তানের
এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে শিশু ও মহিলা রয়েছেন। ভারতের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। আর সেই প্রতিক্রিয়াতেই ভারত চালায় কড়া প্রত্যাঘাত— ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনা লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা।
বিদেশ সচিব স্পষ্ট জানান, ভারত কোনও জনবসতি বা সেনাঘাঁটি নিশানা করেনি, বরং কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতেই আঘাত হানা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে— ভারতীয় হামলায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে— তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি ভারতের। বরং পাকিস্তানের অতীত রেকর্ডই বলে দেয়— মুম্বই হোক বা পাঠানকোট, হামলার উৎস তাদের মাটিই।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিহত জঙ্গিদের দেহে পাক পতাকা মোড়ানো ছিল— এই প্রমাণই যথেষ্ট বলে মনে করছে ভারত। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি যে আসলে বিশ্ব দরবারে নিজেদের মুখ রক্ষার কৌশল, সেই মিথ্যাচারকে কড়া ভাষায় উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
দেখুন আরও খবর: