শীতের আসা যাওয়ার মাঝেই এই নাছোড় বৃষ্টি, বন্ধ হলেই একেবারে জাঁকিয়ে পড়বে শীত। কিন্তু শীত মানেই তো রুক্ষ ও জৌলুসহীন ত্বক। তাই হিমেল হাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা যাতে নষ্ট না হয় তাই ত্বকের পরিচর্যায় রাখতে হবে বাড়তি নজর। শীতের রুক্ষ হাওয়া কে কাবু করতে তাই বাজার থেকে রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম বা লোশন না কিনে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগান এই সব প্রাকৃতিক উপকরণ। এতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও পুষ্টি পেয়ে মুখের ত্বক আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
রোজ মুখে লাগান দুধের সর
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দুধের সরের উপকারিতা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। টাটাকা দুধের সর দিয়ে নিয়মিত মুখ মালিশ করলে বলা বাহুল্য ভাল থাকবে ত্বক। দীর্ঘসময় ধরে বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা।
ত্বকে পুষ্টি জোগাবে আর্গান অয়েল
আর্গান গাছের বীজের নির্যাস এই আর্গান অয়েলের রয়েছে একাধিক উপকারিতা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন, এই সব উপাদান ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বক নরম ও মোলায়েম রাখে।
নারকেল তেল দিয়ে করুন ত্বকের পরিচর্যা
ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেল যথেষ্ট জনপ্রিয়। কারন আর্দ্রতা জোগালেও নারকেল তেল ভীষণ হালকা এতে চিপচিপে ভাব নেই। হালকা গরম নারকেল তেল সত্যি ম্যাজিক করতে পারে। নারকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা না থাকলে চাইলে সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। এছাড়াও এই তেলে রয়েছ ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। এখানেই শেষ নয় ত্বকের কোষ ভাল রাখতে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে অলিভ অয়েল। তাই ত্বকের আর্দ্রতা, নমনীয়তা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের হাজারো সমস্যায় ভীষণ কার্যকরী এই অলিভ অয়েল।
শিয়া বাটার ছাড়া শীতের রূপচর্চা প্রশ্নই উঠে না
শীত এলেই চাহিদা বাড়ে শিয়া বাটারের। শীতের অতি প্রয়োজনীয় এই উপরকরণে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন রয়ছে প্রচুর পরিমাণে। এগুলি ঠোঁট ফাঁটা, শুষ্ক ত্বক সারিয়ে তোলে এবং ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে আনে।
(ছবি সৌজন্য: Flickr)