আচ্ছা, আপনার পাহাড় ভাল লাগে না সমুদ্র? প্রশ্ন শুনে অবাক হচ্ছেন, ভাবছেন মনডে ব্ল কী ভাবে কাটাবেন তার ঠিক নেই। তার মধ্যে এরকম মন চঞ্চল করা এই প্রশ্ন? ভ্রমণপিপাসু আর বাঙালি যে এত দিনে সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে! আজ ওয়ার্ল্ড টুরিজম ডে। ১৯৮০ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড টুরিজম ডে(World Tourism Day) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে পর্যটন নিয়ে তৈরি করা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ সংগঠন। ১৯৭০ সালে আজকের দিনই পর্যটন নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ছিল বিশ্ব পর্যটন শিল্পে (global tourism industry) এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। এরপর ১৯৮০ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর দশম জয়ন্তী পালনের সময় আজকের দিনটিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড টুরিজম অর্গানাইজেশনে (UNWTO)। সেই থেকেই বিশ্বে পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে এই দিবস পালন করছেন বিশ্ববাসী। পাশাপাশি পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেও কাজ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড টুরিজম ডে-র এবারের থিম- “Tourism for inclusive growth”
কিন্তু আজ করোনা অতিমারির মারণ থাবায় একেবারে বিপর্যস্ত বিশ্ব পর্যটন শিল্প (tourism industry)। তাই পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে, একুশের ওয়ার্ল্ড টুরিজম ডে-র (World Tourism Day) থিম(theme)- টুরিজম ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ (“Tourism for inclusive growth”)রেখেছে ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড টুরিজম অর্গানাইজেশন (UNWTO)।
করোনাবিধি এখন অনেকটাই শিথিল, করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে আস্তে আস্তে চেনা ছন্দে ফিরছে জীবন। তাই এখন নতুন পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে চলার বার্তা বিশ্ববাসীকে দিয়েছে এই সংস্থা।বিশ্ব পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছোট-বড় প্রত্যেক অংশকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার কথাও বলা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়, ধর্ম ও যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাও।
পযর্টন শিল্পের (Tourism industry) সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে জুড়ে রয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের(United Nations) পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই পৃথিবীতে প্রত্যেক ১০জনের মধ্যে এক জন তাঁদের জীবিকা উপার্জনের জন্য এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এবং বেশ কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রায় ২০ শতাংশ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি আসে এই পর্যটন শিল্পের হাত ধরে। আর এই জিডিপি হল নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেশের উৎপাদিত সকল দ্রব্য ও পরিষেবার মোট আর্থিক বা বাজার মূল্য।
বেড়াতে গিয়ে করোনা সতর্ক অবলম্বন করতে ভুলবেন না
তাই করোনার জেরে দীর্ঘসময় প্রায় গৃহবন্দি অবস্থায় কাটানোর পর পুজোর ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে মন্দ কী? তবে তার আগে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও কিন্তু জরুরি। সেটা হয়ে গেলে যেখানেই যাওয়ার পরিকল্পনা থাকুন করোনা বিধিনিষেধ ভাল করে দেখে নেবেন। যাতে বেড়াতে গিয়ে আপনাকে কোনও সমস্যায় যাতে না পড়তে হয়। ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল যে ডেস্টিনেশন-ই বাছুন না কেন, করোনা সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না।
হ্যাপি ওয়ার্ল্ড টুরিজম ডে।
ছবি সৌজন্য: Pexel