ফিটনেস ধরে রাখতে কি জিমে বাড়তি সময় কাটাচ্ছেন? অনেকেই মনে করেন যত বেশি ওয়ার্কআউট (workout) করা যায় তত ভাল। বেশিক্ষণ ওয়ার্ক আউট মানেই বাড়তি মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত বলছেন নিউট্রিশনিস্ট (nutritionist) ন্যানসি দেহরা (Nancy Dehra)।
তাঁর মতে বডি ফিটনেস(body fitness) ধরে রাখতে কিংবা বাড়তি মেদ ঝরাতে, দিনে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ওয়ার্কআউট (workout) যথেষ্ট।
তাঁর মতে, “আজকের জীবনশৈলীতে(lifestyle) চাকরী করে, ঘর সামলে, কিংবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম(work from home) এবং সময় মতো ঘুম সব কাজ সেরে ওয়ার্কআউটের (workout) সময় বার করা নিঃসন্দেহে কঠিন। কিন্ত কমপক্ষে কেও যদি ৪০ মিনিট থেকে ঘন্টাখানেকরও সময় বার করতে পারেন, তা হলে খুবই ভাল হয়”।
ওয়ার্কআউটের পর মাংশপেশির বিশ্রাম প্রয়োজন
ওয়ার্ক আউটের পাশাপাশি জরুরী, এই ওয়ার্কআউট (workout) সেশনের পর মাংসপেশির রিকরভারি(recovery of muscles)। ওয়ার্ক আউট করলে স্বাভাবিক ভাবেই মাংসপেশিতে চাপ(strain in muscles)সৃষ্টি হয় এবং টান পড়ে। তাই শুধু ওয়ার্কআউট (workout) করলেই হবে না শরীরকে দিতে হবে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম। তাই সপ্তাহে এই ঘন্টাখানেকের ওয়ার্কআউট (workout), সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি (nutrition) পেতে প্রোটিনযুক্ত (protein) খাবার খেলে ফল হবে চমত্কার, জানাচ্ছেন ন্যান্সি।
ওয়ার্কআউটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট মডারেট ইনটেনসিটির এক্সারসাইজ(moderate-intensity exercise), এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন কিংবা ১৫০ মিনিট সময় যথেষ্ট।
নিউট্রশনিস্টের ন্যান্সি ডেবরার মতে প্রয়োজনে এই লিমিট একটু বাড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যাতে বাড়াবাড়ি না হয়ে যায়।
ফিটনেস এক্সপার্টরা(fitness expert) জানাচ্ছেন ওয়ার্কআউটের একটা সেশনেই যে আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন তা কিন্তু নয়। এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত এক টানা শরীরচর্চা করলে তবেই ভাল ফল পাবেন। পাশাপাশি শরীরকে দিতে হবে সুষম আহার ও সঠিক বিশ্রাম।
তাই প্রয়োজন ডাউনটাইমেরও। সপ্তাহের ৭ দিন, কিংবা বছরের ৩৬৫ দিন শরীরচর্চা করা সম্ভব না। মাঝে মধ্যেই শরীরকে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিতে হবে তা না হলে আপনিও শরীরচর্চা করে আশানুরূপ ফল পাবেন না। উল্টে শরীরে নানা রকম সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
(ছবি সৌ: Unsplash)