চুলের পরিচর্যায় কোনও কসুরই রাখেননি। তাও মনের মতো চুল এখনও অধরা আপনার। এর মধ্যে আবার শীতকাল এসে জৌলুস হারিয়ে চুলের অবস্থা একেবারে তথৈবচৈ। কোথায় খামতি থাকছে বুঝতে পারছেন না? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল চুলের সৌন্দর্য্য। আর স্ক্যাল্প পরিষ্কার ও জীবাণু মুক্ত রাখতে প্রয়োজন স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশনের।
মুখ বা শরীরের অন্যান্য অংশের মতো স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক ভাল রাখতে প্রয়োজন এক্সফোলিয়েশন। স্ক্যাল্পের মৃত কোষ কিংবা ত্বকের অতিরিক্ত কোষ, তেল, খুশকি ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। মাথার ত্বকর ভাল থাকলে চুলের স্বাস্থ্যও ভাল হবে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে চুলের জৌলুস বাড়বে, চুল আরও ঝলমলে হয়ে উঠবে।
চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে যে ট্রিটমেন্টই করান স্ক্যাল্পের সমস্যা থাকলে ভাল ফল পাবেন না। আবার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য যদি ভাল থাকে তাহলে চিকিত্সার লাভ পাবেন দ্রুত। নিয়মিত স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন চুল বাড়তে সাহায্য করবে।
এক্সফোলিয়েশনের ফলে শুধু যে মাথার ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হবে তা নয়। বরং নানা রকমের হেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহারের পরে তার কিছু অবশিষ্ট মাথায় জমে থাকলে তাও পরিষ্কার করবে। অনেক সময় এগুলো শ্যাম্পু করলেও পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। একইভাবে চুলও পরিষ্কার হয়।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন মানে বাড়তি তেল, খুশকি কিংবা চামড়া ওঠার মতো সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া। পাশাপাশি মাথার ত্বকে তেলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে মাথার ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যা হয় না।
মাথার ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ,তেল- ময়লা দুরকমভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। ম্যানুয়ালি আর কেমিক্যালি। প্রথমের ক্ষেত্রে নানা রকমের সরঞ্জাম ও ঘরোয় পদ্ধতি তে তৈরি মাস্ক বা প্যাক ব্যবহার করে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেমন সি সল্ট, বিডস, চারকোল ইত্যাদি। তবে মাথায় সামগ্রীগুলো লাগানোর পরে হাত দিয়ে মালিশ বা চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ে নিত হবে।
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশনের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হল যে এগুলি ব্যবহারে উনিশ বিশ হলেই মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে মাইল্ড অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। এগুলো মাথায় দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তবে আপনার যদি স্ক্রাবিংয়ের প্রয়োজন থাকে সে ক্ষেত্রে এমন সামগ্রী বাছুন যে গুলো তুলনায় মাইল্ড। এক্ষেত্রে যে সব সামগ্রীতে এএইচএ বা বিএইচএ উপাদান রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহারের সময় মনে রাখবেন চলের ডগা বা গোড়া বেশি ডলবেন না এতে সহজেই চুল ছিড়ে যাবে।
(ছবি সৌ: Unsplash)