ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে কোরিয়ান সুন্দরীদের চোখ ধাঁধানো ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্বচ্ছ কাচের মতো ত্বক দেখে রূপচর্চা ও মেকআপের দিকে বেশি করে ঝুঁকছেন অনেকেই। মেকআপের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাছতে গেলেই একটি শব্দ বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। ইংরেজি এই শব্দটি হল নন কমেডোজেনিক। সকালে থেকে বিকেল রূপচর্চার সব প্রসাধনীতে এই একটি কথা লেখা থাকলেই কেল্লা ফতে!
এই শব্দটি এখন মুখে মুখে ঘুরছে বিউটি এক্সপার্টদেরও। তা এই নন কমেডোজেনিক ব্যপারটা ঠিক কী? জেনে নিন-
যে কোনও প্রসাধন সামগ্রী যেগুলোর ব্যবহারে আমাদের ত্বকে থাকা রোমকূপের ছিদ্রগুলির মুখ বন্ধ করে দেয় না এবং যে যে কারণে ব্রণ হতে পারে সেই সমস্যার থেকে ত্বককে রক্ষা করে সেগুলিকে নন কমেডোজেনিক বলা হয়।
তবে এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হল, বুঝবেন কী করে আপনার সামগ্রী সত্যি নন কমেডোজেনিক? অনেক ক্ষেত্রেই প্রস্তুতকারকরা তাঁদের সামগ্রীর উপর নন কমেডোজেনিক লেবেল লাগালেও ব্যবহারের পর ভাল ফল মেলে না।
কী করে বুঝবেন সামগ্রী সত্যি নন কমেডোজেনিক
যাঁদের তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ ত্বক তাঁদের জন্য বেশ উপকারী এই নন কমেডোজেনিক সামগ্রী। এই ধরনের সামগ্রীতে এই উপাদানগুলি আছে কি না, দেখে নিন। ত্বকে অল্প ব্রণর ক্ষেত্রে এই উপকরণগুলি বেশ কার্যকরী-
এ ছাড়া প্রসাধনীতে নন কমেডোজেনিক অয়েলও ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা ক্যারিয়র অয়েল হিসেবে এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন-
এবং আপনার কেনা সামগ্রীতে এই উপকরণগুলি যাতে না থাকে তা দেখে নিন-
যদিও কোনও সামগ্রী কেনার সময় এই কঠিন নামগুলো দেখে মনে রেখে কেনা সহজ নয়, তবে খরচ করে জিনিস কিনলে ত্বকের সুরক্ষার জন্য পরখ করে নেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি এটাও জেনে রাখা দরকার যে, কমেডোজেনিক সামগ্রী মানেই যে ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয় । যাঁদের শুষ্ক ত্বক বা ব্রণর সমস্যা নেই তাঁরা অনায়াসে এই ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন।