বহু বছর ধরে ভ্যালেন্টাইনস দিবস(Valentine’s Day) খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে এই দিনটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও, ভারতবর্ষ সহ অধিকাংশ দেশে এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন নয়। তবে এই দিনটিতে অনেকেই প্রেম নিবেদনের দিন হিসেবে পালন করেন। ভ্যালেন্টাইনস দিবসের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা ইতিহাস অনেকেই জানেন না।
আরও পড়ুন: এই পদ্ধতিতে ব্ল্যাক হেডস দূর করে ত্বক করুন উজ্জ্বল
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলেই জানা যায়, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের গাথা। রোমের বাসিন্দা, খ্রিষ্টধর্মের যাজক ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই উদ্যাপিত হয় চলেছে এই বিশেষ দিনটি। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে নয়, বরং অনেকের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে, তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। সে দেশে নিষিদ্ধ হওয়া খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের জন্য রোমের তৎকালীন সম্রাট দ্বিতীয়ত ক্লডিয়াস, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে বন্দি করার আদেশ দিয়েছিল। কারাগারে আটক থাকাকালীন দৃষ্টিহীন এক মহিলার চিকিৎসা করে চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই চিকিৎসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে, তাঁর জয়গান শুরু হয়। ভ্যালেন্টাইনের এই জনপ্রিয়তায় রাজা ক্লডিয়াস রেগে গিয়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তারপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস ঘোষণা করেন। তবে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কোনও দিন ব্যক্তিপ্রেমের কথা প্রচার করেননি। ভালবাসাকে বেঁধে দেননি নারী-পুরুষের শরীরী ছন্দে। তাঁর প্রচার এবং প্রসার ছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবপ্রেম নিয়ে।
আরও অন্য খবর দেখুন