শীতকাল এলেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। তবে শীতকালে হজমের সমস্যা সহ একাধিক কারণে অসুস্থার প্রাথমিক সঙ্কেত বুঝতে ভুল করেন অনেকেই। চিকিত্সকদের মতে তাই হার্ট অ্যাটাকের এই পাঁচটি লক্ষণ জেনে রাখা খুবই দরকার। এই ধরণের সমস্যা হলে ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না। যেমন-
বুকে ব্যাথা
বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যাথা হবে। সেই ব্যথা আসতে আসতে চোয়ালে, হাত এবং বা কাঁধে ছড়িয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হন।
শ্বাসকষ্ট
টানা বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট এবং দম ফুরিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। যদিও হৃদরোগ ছাড়াও শীতকালে ফুসফুসে জল জমা কিংবা খুব বেশি ঠাণ্ডা লেগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। অল্পেতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া বা মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। তাই কোনও সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে সতর্ক হোন চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
কাশি
দীর্ঘদিন কাশির সমস্যা থাকে এবং তার সাথে কফ তাহলে বুঝতে হবে হার্ট ঠিকঠাক কাজ করছে না। বা ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কাশি সবসময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নয়। তবে কফের সাথে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা হতে পারে।
ক্লান্তি
কিছুক্ষণ কাজ করার পর বা সিঁড়ি দিয়ে একটু উঠলেই যদি বুক ধড়ফড় করে বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন তবে দেরি না করে যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার এটি প্রধান লক্ষণ।
মাথা ব্যাথা
যদি প্রায়ই মাথা ব্যাথা করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মাথা ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ।
হৃদরোগের সমস্যা থেকে বাঁচতে কি করবেন?
পরিমিত আহার
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ স্বাভাবিক হৃদয়ের জন্য পরিমিত আহার অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমান মরশুমি ফল, শাক সব্জি, শস্য জাতীয় খাবার, মাছ এবং মাংস। তবে কমিয়ে ফেলতে হবে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, নুন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া।
নিয়মিত স্বাস্থ্যচর্চা
প্রতিদিন কমপক্ষে তিরিশ মিনিট শরীর চর্চা সুস্থ হার্টের অন্যতম উপায়। তিরিশ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে শরীর চর্চার সময় বাড়িয়ে একঘণ্টা করতে হবে। আর তাতেই ধরে রাখা সম্ভব সুস্থ শরীর।
ধুমপান এড়িয়ে চলুন
তাই যে কোনও প্রকারেই এড়িয়ে চলুন সিগারেট, সিগার, বা গুটখার মতো তামাক জাতীয় দ্রব্য। সমীক্ষায় দেখা গেছে কোনও ব্যক্তি তামাক সেবন বন্ধ করার পর থেকেই কমতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি। এছাড়াও ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার ও ব্লাড কোলেস্টরলের মতো রোগ সম্পর্কে আগেভাগেই সচেতন হলে মিলবে হৃদয়যন্ত্রণা থেকে মুক্তি।